ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাত শিক্ষার্থীকে আজীবন এবং দুই জনকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড।
স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য যাদের নামে সুপারিশ করা হয়েছে এরা হলেন ফজলুল হক মুসলিম হলের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান, কবি জসিম উদ্দিন হলের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিজন আহমেদ, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার তামান্না, কবি জসিম উদ্দিন হলের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহ মেহেদী হাসান, স্যার এ এফ রহমান হলের ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দর্শন বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম এবং অমর একুশে হলের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহেদ আহমেদ৷
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭৮ জন শিক্ষার্থীকে আগেই আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সংখ্যাটি দাঁড়াচ্ছে ৮৫তে।
পরীক্ষার খাতায় অসঙ্গতিপূর্ণ নম্বর দেয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষককে শাস্তি দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
তিন শিক্ষক হলেন অধ্যাপক ড. এএসএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. গোলাম আজম ও সহকারী অধ্যাপক মাইনউদ্দীন মোল্লা।
শাস্তি হিসেবে তাদের তিন বছর পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে দূরে রাখতে বলা হয়েছে।
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের ১৪৭ জন শিক্ষার্থীকে জন্যে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা বোর্ডের (ডিবি) এক সভায় এসব সুপারিশ করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কৃত দুই জনকে শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
শৃঙ্খলা বোর্ডের এসব সুপারিশের ব্যাপারে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন বোর্ডের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়।