বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেরোবি প্রশাসনের অদ্ভুত নির্দেশনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২৩:০৫

বৃহস্পতিবার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আসে। এতে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে নানা মহল থেকে।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, উপাচার্যের বাংলো, একাডেমিক ভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের সামনে মিছিল-মিটিং, অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ, স্লোগান, বক্তব্য প্রদান ও মৌন মিছিল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই নির্দেশনা জারি করে।

কিন্তু বৃহস্পতিবার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আসে। এতে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে নানা মহল থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দেয়া ওই আদেশকে অদ্ভুত আদেশ বলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, আগামী রোববারের মধ্যে এই আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর ক্যাম্পাসে না আসা এবং তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন উপাচার্য ও প্রশাসন। এ ঘটনার পরেই ৩১ জানুয়ারি এই আদেশ জারি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া ওই আদেশে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসনিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এই আদেশ জারি করা হলো এবং এই নির্দেশনাবলী বাস্তবায়ন করতে কর্তব্যরত সকলকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে বলা হলো। দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের শিথিলতা ও অবহেলা করা যাবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী পোমেল বড়ুয়া বলেন, ‘প্রশাসন নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এমন আদেশ জারি করেছে।’

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা নিষেধাজ্ঞা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার এই অফিস আদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংজ্ঞার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কাজে প্রশাসনিক ভবনে যেতে হয়, অনুমতি কোথায় নেবে? কার কাছে নেবে, অনুমতি দেবেটাই কে?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য, রেজিস্ট্রার বছরের পর বছর ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। তারা নিজেরাই রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে চলেছেন। তাদের এসব সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন ফরমান জারি করার এখতিয়ার রাখেন না উপাচার্য-রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টরা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি একে এম ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে সিন্ডিকেটের বিশেষ সভা করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ধরনের অফিস আদেশ বলে দেয় যে, এই প্রশাসন অপকর্মগুলো বিনা প্রতিবাদে ও নির্বিচারে চালিয়ে যেতে চায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, ‘উপাচার্য নিজেই পুরোপুরি দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। তার এই আদেশ মেনে নেয়া যায় না।

‘শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস করে, তাদের কণ্ঠরোধ করার স্বেচ্ছাচারী নোংরা অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এই স্বৈরাচারী আদেশ আগামী রোববারের মধ্যে প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিভাগের আরো খবর