বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩১

যারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দেবে, কেবল তারা থাকতে পারবেন হলে। আগামী ১৩ মার্চ থেকে এই ব্যবস্থা নেয়ায় পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার অবসানের আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষায় যারা অংশ নেবেন, তাদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে হলগুলো।

আগামী ১৩ মার্চ থেকে এই ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী।

এই ব্যবস্থার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে আটকে যাওয়ার পরীক্ষা নিতে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তার অবসান হবে বলে আশা করছে প্রশাসন।

অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান একে ঠিক হল খুলে দেয়া বলতে চাইছেন না। তিনি বলেন, ‘হল খুলে দেয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পরীক্ষার্থীদের রাখা যায় কি-না সেটা ভাবছি।’

আবাসিক পরীক্ষার্থীরা কীভাবে হলে থাকবেন সে বিষয়েও পরবর্তীতে নির্দেশনা দেয়া হবে বলেও জানান উপাচার্য।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর থেকে হলগুলাতেও কাউকে থাকতে দেয়া হচ্ছে না।

ম্নাতকের চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষার্থীরা অবশ্য আর বসে থাকতে চাইছেন না। তারা পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে আবেদনের সুযোগ চান।

মাস তিনেক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে একমত। তবে পরীক্ষার্থীরা কোথায় থাকবে, এই বিতর্কে শেষ পর্যন্ত আর পরীক্ষা নেয়া হয়নি।

গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়। তবে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখার সুপারিশ করে ইউজিসি।

এই সিদ্ধান্তের পর, ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর কথা জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আবাসিক হল বন্ধ থাকায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় অনেক শিক্ষার্থী। কারণ, বহু পরীক্ষার্থীর ঢাকায় থাকার জায়গা নেই। আর করোনাকালে পরিচিতজনদের বাসাতেও আবাসনের সুযোগ নেই।

এরপরও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অপরাধ বিজ্ঞানসহ কিছু কিছু বিভাগ পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থীদের আবাসনে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সেই সংকট লাঘব হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

সরকারি কর্মকমিশন-পিএসসির ৪৩ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর পরীক্ষা নেয়ার দাবিটি আরও জোরাল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আবেদনের সময়সীমা পেছাতে পিএসসিকে অনুরোধ করেছে আর সংস্থাটিও দুই মাস সময় বাড়িয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর