করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পরীক্ষা ছাড়াই আগের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রকাশ হলো এইচএসসি ও সমমানের ফল। এ প্রক্রিয়ায় এবার পাস করেছে শতভাগ শিক্ষার্থী।
এইচএসসিতে এর আগে কখনো এমনটি হয়নি। অটো পাসের কারণে এবার সবার নজর জিপিএর দিকে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়।
শনিবার বেলা ১১টা ৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ফল ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও বক্তৃতা করেন।
এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।
এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফল পাওয়া যাবে না। ফল ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফল পাঠানো হবে না। ফল প্রকাশ হবে অনলাইনে।
ফল কীভাবে পাওয়া যাবে
ফল জানতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল থেকে মেসেজ করে আগেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে: HSC< >Board name (First 3 letter) Roll2020 টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।
এ ছাড়া টেলিটক ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd থেকে ফল দেখা যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে এই ফল।
মূল্যায়ন পদ্ধতি
এবার জেএসসি ও এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জেএসসিকে ২৫ শতাংশ ও এসএসসির ৭৫ শতাংশ ধরে বিষয়ভিত্তিক গড় নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করা হয়েছে ।
করোনার কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের গড় করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর এমন তথ্য জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, জেএসসি ও এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। এ ক্ষেত্রে জেএসসিকে ২৫ শতাংশ ও এসএসসির ৭৫ শতাংশ ধরে বিষয়ভিত্তিক গড় নম্বর দিয়ে ফলাফল তৈরি করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবার কোনো শিক্ষার্থী ফেল করবে না। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সব বিষয় রাখা হবে। কোনো বিষয় বাদ দেওয়া বা নম্বর কমিয়ে মূল্যায়ন করা হবে না।
গত বছরের ২২ মার্চ এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটি প্রথমে স্থগিত হয়। পরে পরীক্ষা আর না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।