গুচ্ছ পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরীক্ষার কেন্দ্র নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
বুয়েট ছাড়া অন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইংরেজি বানানের প্রথমাক্ষর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও ভর্তি পরীক্ষা চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
তবে এ দুই বিষয়ে আগামী সপ্তাহে জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছে বুয়েট।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে বুয়েটের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে বুধবার ইউজিসির সঙ্গে উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল সভা হয়।
বুয়েটের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বুয়েট থেকে ও পরীক্ষার কেন্দ্র শুধু বুয়েটেই হবে। তবে কমিটিতে অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশীদারত্ব থাকবে। প্রশ্নপত্র কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি প্রণয়ন করবে।
তবে এবার তা না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইংরেজি বানানের প্রথমাক্ষর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও ভর্তি পরীক্ষা চার বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা জানিয়েছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
সভায় বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার বলেন, ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে তারা এই পদ্ধতিতে যাচ্ছেন। বুয়েটের চলমান ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন নেই। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ধরনের বিপর্যয় যাতে না ঘটে, সেদিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সব বিশ্ববিদ্যালয়কে উদারভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘শিগগিরই এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সবার জন্য মঙ্গলজনক।’
সভায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সভায় ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান ও বুয়েটের তিন জন অধ্যাপক অংশ নেন।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিরা জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সবাই নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন।