প্রকল্প বিদ্যালয় স্থাপনের আগে জেলা-উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত ও বাদ পড়া সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে সারাদেশের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে নেত্রকোনা সদর উপজেলার চন্দ্রপতিখিলা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করি, সারাদেশে বাদ পড়া বেসরকারি স্কুলগুলো জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে আমাদের সীমাহীন কষ্ট দূর করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চাকরি আছে কিন্তু বেতন নেই। তারপরও আমরা স্কুলের ছেলে-মেয়েদের দিকে তাকিয়ে পাঠদান করে যাচ্ছি। আমরা করোনার মাঝে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তি পায় না এবং কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধাও পায় না।’
‘এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই দাবি, নতুন করে স্কুল স্থাপন না করে বাদ পড়া স্কুলগুলোকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে আমাদেরকে বাঁচাবেন।’
মানববন্ধন শেষে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান।
স্মারকলিপির বলা হয়, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের করেন। তিনি বলেন ‘আজ থেকে বাংলাদেশে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না।’ কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণের সময় যে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল, তাহার সংখ্যা যথাযথ না হওয়ায় প্রায় চার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে।
মানববন্ধনে দিনাজপুর, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, পটুয়াখালী, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলসহ সারাদেশের বেসরকারি স্কুলের প্রায় তিনশ শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।