চাকরির দাবিতে চলমান আন্দোলন একদিনের জন্য স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা। বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপ উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান ছাত্রলীগের ৬ জন নেতার সঙ্গে প্রশাসন ভবনে আলোচনায় বসেন।
আলোচনা শেষে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে নিয়োগ বন্ধ ও ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ সমুন্নত রাখার ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছি। তাদের ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট হইনি। তারপরও তারা আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক ইন্তেকাল করেছেন। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা একদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করছি। বুধবার উপাচার্য আমাদের সঙ্গে নিজেই আলোচনায় বসবেন বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে। আলোচনায় তারা যদি আমাদেরকে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দিতে পারে, তাহলে আমরা আর আন্দোলনে যাব না। কিন্তু আগামীকাল উপাচার্য যদি ব্যাখ্যা করতে না পারেন, তাহলে আমরা আবার আন্দোলন শুরু করব।’
এ বিষয়ে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের মত আন্দোলন স্থগিত করেছে। বুধবার আবার তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।’
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা উপাচার্য বাসভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ দুই উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মোহাম্মদ যাকারিয়া এবং প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান উপাচার্যের বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
সোমবার রাবি রেজিস্ট্রার দপ্তরের অ্যাডহকে এক জন প্রতিবন্ধীকে চাকরি দেয়ার জেরে এই অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কর্মীরা।
প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে আমরা জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আখতার ফারুক মারা গেছেন। তখন অবরুদ্ধকারীদের অনুরোধ করলে তারা আমাদের তিন জনকে যেতে দেয়। কিন্তু ভিসি স্যার ভেতরেই ছিলেন।’
‘সকাল পৌনে ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের গেটের তালা খুলে দিলেও তালা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে। তারা ফটকের সামনে বসে অবস্থান শুরু করেন।’