বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় যেভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে জাবি

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:৩৫

অনলাইনে বিশেষ পদ্ধতিতে চলছে পরীক্ষা। দীর্ঘ বিরতির পর পরীক্ষা চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার উপায় খোঁজায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন ব্যস্ত তখন ভিন্ন উপায়ে পরীক্ষা চালু করে দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

অনলাইনে বিশেষ পদ্ধতিতে চলছে পরীক্ষা। দীর্ঘ বিরতির পর পরীক্ষা চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় গত বছরের মার্চে। এর পর থেকে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। হচ্ছে না কোনো পরীক্ষা। করণীয় খুঁজে পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ।

করণীয় নিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। তাতে জানানো হয়, নিজ নিজ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা চালু করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

করোনার ভেতরে পরীক্ষা নিয়ে করণীয় নিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন

ওই সিদ্ধান্তের পর পরই পরীক্ষা নিতে তোড়জোর করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্ব শরীরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২৬ ডিসেম্বর থেকে অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে হলে থাকার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না’ বলে জানায় তারা।

এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হলে পরীক্ষা আর শুরু করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একই অবস্থা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েরও। এ বিষয়ে তাদের বিকল্প কোনো ভাবনাও শোনা যাচ্ছে না।

অন্যরা থমকে গেলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে পরীক্ষা নেয়ার উপায় খুঁজে নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে তারা।

শুরু করা হয়েছে ৪৫তম আবর্তনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দিয়ে। কারণ পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় বিসিএস ও অন্যান্য চাকরিতে আবেদন করতে পারছে না তারা।

গত বছরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগ স্নাতক পরীক্ষা শুরু করে দিলেও পরে করোনার কারণে তা আটকে যায়। টানা নয় মাস ধরে বন্ধ থাকে সব ধরনের পরীক্ষা।

পরিস্থিতি একটু উন্নতি হওয়ার পর পরীক্ষার জন্য আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে ভাইভার মাধ্যমে স্নাতক পরীক্ষা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

আপাতত ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে, যা শেষ হওয়ার কথা ২১ জানুয়ারি। শিক্ষকেরা পরীক্ষার নম্বর সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে জমা দেবেন ২৪ জানুয়ারির মধ্যে।

অনলাইন মাধ্যমে এই ব্যাচের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হলে অন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাও এভাবে নেয়ার পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রধান অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ নিউজবাংলাকে অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম আবর্তন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। সেই সঙ্গে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং ফার্মাসি বিভাগের ৪৪তম ব্যাচেরও পরীক্ষা চলছে।’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অনলাইন পরীক্ষায় মূল্যায়ন নম্বর ধরা হয়েছে ৬০। এর মধ্যে ৩০ নম্বর থাকবে করোনার আগে নেয়া টিউটোরিয়াল থেকে, বাকি ৩০ নম্বর এর ২০ নম্বর হবে অনলাইন ভাইভা ও ১০ নম্বর থাকবে অ্যাসাইনমেন্টে।

ভাইভা ও অ্যাসাইনমেন্টের নম্বরকে ৭০ বিবেচনায় নিয়ে তার সঙ্গে আগে নেয়া টিউটোরিয়ালের ৩০ যোগ করে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে সিজিপিএ নির্ধারণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান শেখ আদনান ফাহাদ নিউজবাংলাকে বলেন, তার বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিভাগ থেকে রুটিন দেয়া হয়েছে; সে অনুযায়ী অনলাইনে ভাইভা নেয়া হচ্ছে।

‘করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে একাডেমিক কাউন্সিলে। এর আগে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা বিভাগ থেকে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন থেকেই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল।’

আদনান ফাহাদ বলেন, এরপর সিন্ডিকেট থেকে শুধুমাত্র ৪৫তম আবর্তন, মূলত যারা এবার স্নাতক সম্মান শেষ করবে তাদের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মোটামুটি সবগুলো বিভাগ এ সিদ্ধান্তে রাজি হয়।

‘এই ব্যাচের অনেক বিভাগে করোনার আগে থেকেই পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষাও বন্ধ থাকে। আর পরীক্ষা আটকে থাকার কারণে অনেকেই চাকরির পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারছেন না।’

করোনার কারণে পরীক্ষা থমকে যাওয়ায় হতাশা বাড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের। জাহাঙ্গীরনগরের এই পদ্ধতি পরিত্রাণের উপায় হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর