রংপুর সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ সংলগ্ন ইন্দ্রার মোড়ে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ দিকে।
আশা করা হচ্ছে, রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুর দিন ৯ ডিসেম্বরই ভাস্কর্যটির উন্মোচন হবে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাস্কর্যটি উন্মোচন করার চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু ২০১৭ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এর ব্যয় ধরা হয় ১৫ লাখ টাকা।
ভাস্কর অনীক রেজা জানান, পাথর-কংক্রিটের ভেতর থেকে বের করে আনা হচ্ছে আলোকিত রোকেয়াকে। শিক্ষার আলোয় নারীদের মুক্তির পক্ষে বই হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে তাকে।
পুরো অবকাঠামো হচ্ছে ৫০ বর্গফুট বেদির ওপর, যার উচ্চতা হবে ৮ ফুট। আর বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতি হবে প্রায় ১২ ফুট লম্বা।
ভাস্কর্যটিতে বেগম রোকেয়ার জন্ম-মৃত্যুর সাল ও তার বাণী থাকবে। এ ছাড়াও থাকবে ‘অবরোধবাসিনী’, ‘মতিচুর’, ‘সুলতানার স্বপ্ন’সহ তার কিছু বইয়ের পাথররূপ।
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘বেগম রোকেয়া আমাদের পিছিয়ে পড়া থেকে টেনে তুলেছেন; আলোর পথ দেখিয়েছেন। ভাস্কর্যটি উন্মোচন হলে বর্তমান প্রজন্ম রোকেয়া সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারবে।’
সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিমা সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়া আমাদের শক্তি, চেতনা, দর্শন ও অনুপ্রেরণা। বেগম রোকেয়া শুধু রংপুরের নন, পুরো দেশের গর্ব।
‘আগে তার ম্যুরাল দেখতে পায়রাবন্দে যেতে হতো। এখন কলেজের পাশেই দেখতে পাব।’