২০২২ সালে দেশে ৬৫ হাজার ৬২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন এ সংক্রান্ত প্যাকেজ হস্তান্তর করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘দেশে ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য বাস্তবায়নাধীন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখার পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজ প্রণয়ন হয়েছে। ২০২১ সালে নির্বাচিত দুই হাজার ৬৩৩টি স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে এই শিক্ষা চালু হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের মানসম্মত শিক্ষার গভীর সংযোগ রয়েছে। শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে এ শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
‘নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনায় এ শিক্ষা এক বছর বাড়ানোর পরিকল্পনা হয়েছে। চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী কার্যক্রমটি চালুর অনুমোদন দিয়েছেন।‘
২০১০ সালের অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজে দেশে ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের জাতীয় শিক্ষক্রমের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে সারাদেশে এ শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়।
প্যাকেজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এনসিটিবির সদস্য ড. একেএম রিয়াজুল হাসান, উর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ কুররাতুল আয়েন সফদার ও গবেষণা কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।