করোনার কারণে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার শিক্ষার্থীরা তাদের ফরম পূরণের কিছু টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সভাপতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না হলেও বিভিন্ন কাজে কিছু খরচ হয়েছে। যে টাকা বাকি আছে তা ফেরত দেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা কতটা ফেরত পাবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।'
জিয়াউল হক জানান, প্রশ্নপত্র তৈরি, কেন্দ্র ভাড়া, শিক্ষকদের ডিউটি খরচ, খাতা দেখার ফি সবই নেয়া হয় ফরম পূরণের সময়। ফরম পূরণে যে টাকা নেয়া হয়েছে তার ৭০ শতাংশ খরচ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি হয়েছে প্রশ্নপত্র তৈরিতে।
করোনা হলেও অনেক আগেই পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশে এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন আর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন।
অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত দিতে হয়েছে ১০০ টাকা। নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বোর্ড ফি জমা দিয়েছেন ১৬২ কোটি টাকা। আর অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা জমা দিয়েছেন প্রায় ৪৩ কোটি টাকা।
এক ও দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ এবং মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীরা জমা দিয়েছেন আরও প্রায় ১০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।