২০২০ সালের এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে ফেসবুকে কাজ করছিলেন দিয়া। এবার ফেসবুকের বাংলাদেশ অংশ দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের আঞ্চলিক সদর দপ্তরের সঙ্গে এক অনলাইন বৈঠকে যোগ দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানে দিয়াকে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
দিয়া প্রযুক্তি, সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্নেষণ করবেন।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করছেন প্রায় ৪ কোটি মানুষ।
দিয়া বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বা আইইউবির শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি, যোগাযোগ এবং চলচ্চিত্র বিষয়ে স্নাতক পাস করেন তিনি।
এরপর স্কলারশিপ নিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেখান থেকে পাবলিক পলিসি নিয়ে, মূলত ডাটা সায়েন্স এবং প্রযুক্তিবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো দিয়া বর্তমানে সানফ্রান্সিসকোর সিয়াটলে এবং ঢাকায় কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন।
২০০৬ সালে দেশ ছাড়ার আগে দিয়া তরুণদের জন্য জনসেবা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন।
এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুই শতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। সুবিধা পায় ১২ লক্ষাধিক মানুষ। উপকার পাওয়া ৬৫ শতাংশই নারী।
শাবহানাজ রশীদ দিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশে ফেসবুকে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। দিয়া এগিয়ে যাবে তার নতুন এই স্বপ্নযাত্রায়। ফেসবুকের মাধ্যমে সামাজিক অপরাধ, সাইবার ক্রাইম কমে আসবে; এমন প্রত্যাশা করতেই পারি।