শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে হতাশ খোদ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বলেছেন, এই ব্যবস্থা বেকারত্ব দূর করতে পারবে না। কারণ, শিক্ষা বাস্তবমুখী নয়। বড় বড় ডিগ্রিও বাস্তবে কাজে আসছে না।
বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অতিমাত্রায় পরীক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও বাড়তি চাপে থাকে। ‘
‘সকলে জিপিএ ফাইভ এর মোহে দৌড়াতে গিয়ে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক চাপ বাড়ছে।’
এখান থেকে বের হয়ে আসতে সরকারের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। বলেন, ‘এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পরীক্ষা ও সনদ নির্ভরতা কমিয়ে পাঠদানকে আনন্দদায়ক করা হবে। মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ছেলে-মেয়েদের অভিজ্ঞ করে তোলা হবে।’
এ জন্য পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদে শব্দ ব্যবহারে সাংবাদিকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘কখনও কখনও একটি শব্দের জন্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে একটু সতর্ক থাকবেন।’
‘হয়তো পরীক্ষা নিয়ে একটি কথা বললাম, ঠিক যেভাবে বললাম, পত্রিকার পাতায় সেভাবে এলো না। এলো শব্দের হেরফের, এদিক-ওদিক হয়। কিন্তু অনেক সময় শব্দ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তার যে প্রভাব অনেক বড়, সে কারণে শব্দ ব্যবহারে সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি।’
‘যিনি রিপোর্ট লিখছেন তিনি যদি কেউ যা বলেছেন সেই শব্দগুলোকে অবিকৃত রাখেন তাহলে আমাদের সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন।’
শিক্ষা বিষয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ও অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী। তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দেন সেখানে।
অনুষ্ঠানে তিন জনকে ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হয়। তারা হলেন, কালের কণ্ঠের শরিফুল আলম সুমন, দ্য ডেইলি সানের সোলাইমান সালমান ও বণিক বার্তার সাইফ সুজন।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন ইরাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম সুমন।