দেশের ৩৪ জেলার ৪০ শিক্ষিত তরুণ ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাজির হয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের হোটেল শাহিদ প্যালেসে।
তাদের কেউ এসেছেন বরিশাল থেকে, কেউ পঞ্চগড় থেকে। কেউ প্রকৌশল ও চিকিৎসাবিদ্যার পেশাজীবী, কেউবা নিরেট কৃষক।
সবার উদ্দেশ্য- কৃষি বায়োস্কোপ আয়োজিত তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ।
পরের দু'দিন তারা দেশ-বিদেশের কৃষি নিয়ে কাজ করা কৃষিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক ধারণাসহ সফল প্রকল্পে গিয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতাও নিয়েছেন।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া ৪০ জন কৃষি উদ্যোক্তা
দু'দিনের এই কর্মশালায় তারা পথনির্দেশনার পাশাপাশি পেয়েছেন সম্ভাবনাময় আগামীর উদ্দীপনা।
ডিজিটাল কৃষি সম্প্রসারণ উদ্যোগ হিসেবে কৃষি বায়োস্কোপের যাত্রা ২০১৬ সালে। শুরু থেকেই তারা কৃষিবিষয়ক ২০০-এর বেশি তথ্য এবং ভিডিওচিত্র ধারণ ও প্রচার করেছেন।
কৃষি বায়োস্কোপ পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাশরুর। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. হামিদুর রহমান।
তাদের আগ্রহে শিক্ষিত তরুণদের এক করে কৃষি উদ্যোক্তা নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। ইউটিউবের মাধ্যমে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হলে প্রথম চার দিনেই জমা পড়ে ৬০০ আবেদন।
সেখান থেকে ৪০ জন বাছাই করে প্রথম ব্যাচের কর্মশালার জন্য ডাকা হয়। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে এইচএসসি।
কর্মশালার প্রথম দিন মৌলিক প্রশিক্ষণে...
দু'দিনের কর্মশালার প্রথম দিনে ছিল মৌলিক প্রশিক্ষণ। শেখানো হয় গাছের কাটিং, সার মিক্সিং, মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখা, সেচ দেওয়ার সঠিক উপায়সহ নানা কৌশল।
দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই ছিল মোটিভেশনাল ট্যুর। তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক আনারের বাগানে। দেখানো হয় কীভাবে সয়েল চার্জার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, কীভাবে ডিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী ৫০০ কৃষি উদ্যোক্তাকে কর্মশালার মাধ্যমে এক করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির পাঠশালা।