করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজে পরীক্ষার মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন একটি বিকল্প হতে পারে ‘অটো পাস’।
তবে এটিই চূড়ান্ত কি না, হলে নীতিমালা কী হবে, সেই বিষয়টি পরে বসে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন দীপু মনি।
করোনার কারণে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা এরই মধ্যে স্থগিত হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা সামনে। কয়েক দফা ছুটি বাড়ানোর পর আবার একই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
বার্ষিক পরীক্ষা না হলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে, এ নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। তবে এ নিয়ে সরকার এখনো প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন নানা অপশন নিয়ে ভাবছি, কোনো পরীক্ষা না নিয়ে অটোপ্রমোশন দেওয়া; আবার পরীক্ষা নিয়ে প্রমোশন দেওয়া। আমরা সব বিষয় নিয়েই কাজ করছি। শিগগিরই এ বিষয়ে জানাতে পারব। আমরা সব দেশের পরিস্থিতিই দেখছি।’
এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কবে হবে- এ বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বার্ষিক পরীক্ষা, আগামী এসএসসিসহ অনেক পরীক্ষা নিয়েই সবার প্রশ্ন আছে। কিন্তু এই পরীক্ষা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। শিগগিরই এটি নিয়ে আমাদের একটি সভা আছে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
স্কুল কলেজ না খুললেও সরকার ইংরেজি মাধ্যমের ‘ও’লেভেলের পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। এর যৌক্তিকতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ও’ লেভেলের প্রতিদিন মাত্র ১৮০০ পরীক্ষার্থী। সেখানে মোট ছয় হাজার শিক্ষার্থী। তাদের ৩৫টির বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কাজ করা অনেক সহজ হবে। তাদের সব শর্তই দেওয়া হয়েছে। এবং যারা অক্টোবরের মধ্যে দিতে না পারবে, তারা মে মাসের আগে আর দিতে পারবেন না।’
আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, এই ছুটি আবার বাড়ছে, যদিও কবে পর্যন্ত সেটা জানাননি তিনি।
খবর ইউএনবি।