বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:১৭

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর কোনো অধিকার নেই। তিনি সতর্ক করেছেন, যদি মূল্য পরিবর্তন ঘটানো হয়, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এর আগে, গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৭ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ২৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন অন্য এক অনুষ্ঠানে বলেছেন বলেছেন, আসবাবপত্র শিল্পের বিকাশ এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের আসবাবপত্র শিল্পে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ শিল্পের উন্নয়নে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। দেশের সম্পদ ও সুযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দ্রুততম সময়ে বৈশ্বিক আসবাবপত্র বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার ২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকার অর্থনীতিতে ‘বুদবুদ’ তৈরি করেছিল, যা কর্মসংস্থান না করলেও ব্যাংকের শাখা ও কিছু অফিস বাড়িয়েছিল। সঙ্গত কারণেই বর্তমান সরকারকে সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করতে হয়েছে। না হলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াত না।

তিনি বলেন, ফার্নিচারের কার্যকরী ও নান্দনিক বৈশিষ্ট্য (ফাংশনাল ও এসথেটিক অ্যাট্রিবিউট) নেই, প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনও হচ্ছে না। সরকার নীতিগতভাবে যতটা আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, তা করছে। ব্যবসায়ীদের উচিত উদ্ভাবন বাড়ানো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফার্নিচার শিল্পের জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজতে কাজ করছে। এই শিল্পে নান্দনিকতা ও রুচির বহিঃপ্রকাশ রয়েছে- তা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফার্নিচারের দামের কারণে নয়, উদ্ভাবনের অভাবে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের উচিত ফার্নিচার শিল্পে উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়ানো। আমরা কিছু দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, যা এই শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

বিএফআইওএর চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. কে এম আখতারুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এবারের মেলায় ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা সর্বাধুনিক নকশা ও পণ্যের প্রদর্শনী করবে ২৭৮টি স্টলে।

বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের গুলনকশা (হল-১), পুষ্পগুচ্ছ (হল-২) এবং রাজদর্শন (হল-৩) হলে পাঁচ দিনের এই মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ‘আমার দেশ, আমার আশা—দেশীয় ফার্নিচারে সাজাবো বাসা’ স্লোগানে আয়োজিত এই মেলা দেশের ফার্নিচার শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন।

এ বিভাগের আরো খবর