বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রপ্তানি কমলো টানা ২ মাস *সেপ্টেম্বরে কমেছে ৪.৬১ শতাংশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:১৩

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসেই পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা হোঁচট আসে। আয় কমে যায় ৩ শতাংশের মত। তৃতীয় মাসও চলে সেই ধারায়। এবার রপ্তানি আরও কিছুটা কমেছে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমে গেছে ৫ শতাংশের মতো।

গত বছরের একই মাসের চেয়ে মাসটিতে পরিমাণে রপ্তানি কমলো ১৭ কোটি ডলারেরও বেশি। রপ্তানির পরিমাণ নেমে আসে ৩৬৩ কোটি ডলারে, যা আগের সেপ্টেম্বরে ছিল ৩৮০ কোটি ডলারেরও বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশের মত। মূলত পোশাকের রপ্তানি এ হারে কমে যাবার প্রভাবেই গোটা রপ্তানি আয় নেতিবাচক ধারা চলছে। পোশাকের রপ্তানি কমে দাঁড়ায় ২৮৪ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৩০১ কোটি ডলার।

একক মাসের হিসেবে রপ্তানি কমলেও অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ শতাংশের মত বেশি আছে।

এর কারণ, অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি বেশি হয় ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় মাস রপ্তানি কমে ৩ শতাংশের মতো।

অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে কার্পেট রপ্তানি ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং হিমায়িত মাছ রপ্তানি ১২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে একব্যবসায়ী নেতা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়েও প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, কারণ বেশির ভাগ ক্রেতাই নতুন করে কোনো ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন না। তারা এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক‍্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রপ্তানিকারকদের পক্ষে এ অতিরিক্ত চাপ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ তারা এরই মধ্যে প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছেন।

এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। কারণ চীনা ও ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যোগ করেন বিকেএমইএ সভাপতি।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেনা, "এ ধীরগতি আগামী দুই থেকে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে, আমাদের রপ্তানি আবারও পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছি। এ সময়টায় রপ্তানিকারকদের ধৈর্য সহকারে ক্রেতাদের যে কোনো ধরনের চাপ মোকাবিলা করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর