তিন মাসব্যাপী চলা ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স ক্যাম্পেইন সফলভাবে শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শেষে চট্টগ্রামের একজন রেমিটেন্স গ্রাহক প্রথম মেগা পুরস্কার হিসেবে জিতেছেন একটি নতুন রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল।প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ বৈধ ও নিরাপদ চ্যানেলে দেশে পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতেই ব্র্যাক ব্যাংক এই ক্যাম্পেইনটি চালু করে। এ ধরনের গ্রাহক-সম্পৃক্ততা উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স মার্কেটে নিজেদের নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থান আরো সুদৃঢ় করাই ছিল এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী মোহাম্মদ নাসেরের হাতে নতুন রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলটি হস্তান্তর করেন। মোহাম্মদ নাসের চট্টগ্রামের মুরাদপুর ব্রাঞ্চের একজন গ্রাহক, যিনি ক্যাম্পেইনের শীর্ষ রেমিটেন্স গ্রাহক হিসেবে পুরস্কারটি জিতেছেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ, হেড অব রেমিটেন্স অ্যান্ড প্রবাসী ব্যাংকিং শাহরিয়ার জামিল এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।১৮ মে ২০২৫ থেকে ৩১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনটি রেমিটেন্সের অন্যতম প্রধান মৌসুম ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছিল। পুরো ক্যাম্পেইনজুড়ে গ্রাহকদের দেওয়া হয় নানারকম আকর্ষণীয় পুরস্কার। সাপ্তাহিক পুরস্কার হিসেবে ছিল মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ স্পিকার, পাওয়ার ব্যাংক, ইয়ারবাড ও গিফট কুপন। প্রতি দুই সপ্তাহে মেগা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ওয়াটার পিউরিফায়ার। পুরো ক্যাম্পেইনজুড়ে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্সগ্রহীতাকে দেওয়া হয় গ্র্যান্ড প্রাইজ রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল।এই উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। আরো বেশি রেমিটেন্স সুবিধাভোগীদের অনবোর্ডিং এবং আমাদের ব্রাঞ্চ, সাব-ব্রাঞ্চ ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্যাশ পিক-আপ সুবিধা সহজতর করার মাধ্যমে আমরা দেশে অধিক পরিমাণে রেমিটেন্স আনতে কাজ করছি। এই উদ্যোগ কেবল আমাদের ব্যাংকের তারল্য বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে সহায়তাই করছে না, বরং নিরাপদ ও বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স আহরণের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও শক্তিশালী করছে।”রেমিটেন্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রাহকদের ক্ষমতায়ন, স্বীকৃতি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে।এ ধরনের রেমিটেন্স ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারকে নিরাপদ, উদ্ভাবনী ও গ্রাহকবান্ধব সল্যুশন প্রদানের পাশাপাশি রেমিটেন্স মার্কেটে নিজেদের নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থান আরো সুদৃঢ় করছে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।