দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি তাদের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের গতিশীল নেতৃত্বে প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার এক নতুন যাত্রা শুরু করেছে। ব্যাংকিং, ফাইন্যান্স ও গভর্নেন্সে সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সমন্বয়ে এই বোর্ড দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।
নতুন বোর্ডে দেশের অন্যতম সেরা ও দক্ষ ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার ডাঃ আরিফুর রহমান, বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মো. ফোরকান হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, অডিট কমিটি (সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক)। সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ কমিটি (সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক)। মো. সাজ্জাদ হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি (সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ব্যাংক এশিয়া)। প্রফেসর শেখ মোর্শেদ জাহান, স্বতন্ত্র পরিচালক (প্রফেসর, আইবিএ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। এম নুরুল আলম, FCS, CCEP-1, CGIA, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অনবদ্য এই সমন্বয় প্রিমিয়ার ব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
বিগত ১৯ আগস্ট, ২০২৫ এই নতুন বোর্ড গঠিত হওয়ার পর থেকে প্রথম ৩ সপ্তাহে বোর্ডের অগ্রাধিকার ছিল—কর্পোরেট গভর্নেন্স ও কমপ্লায়েন্সকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকিং পলিসি প্রণয়নের মাধ্যমে আমানতকারীর আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম অটুট রাখা। পাশাপাশি মন্দ ঋণ (NPL) আদায় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মূল ফোকাসের ক্ষেত্রসমূহ হলো: অডিট ইস্যু – দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অডিট জটিলতা স্বচ্ছতার সাথে সমাধান। ডিভিশনাল স্ট্র্যাটেজি – প্রতিটি বিভাগের লক্ষ্য কর্পোরেট উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য করা। সার্ভিস কোয়ালিটি – কোনো গ্রাহক বিলম্ব ছাড়াই প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রদান। অ্যাকাউন্ট সেগ্রিগেশন – ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করা। কর্পোরেট সংস্কৃতির পরিবর্তন – সব স্তরে দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। কর্পোরেট গভর্নেন্স – আমানতকারীর সুরক্ষা ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য টেকসই কাঠামো গঠন।
এছাড়াও রেমিট্যান্স, রিটেইল, কর্পোরেট, এসএমই, কার্ডস, ডিজিটাল এবং ইসলামিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত সময় দিয়ে বোর্ড ও এক্সিকিউটিভ কমিটি, অডিট কমিটির বৈঠকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন সম্মানিত বোর্ড সদস্যরা। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তাদের এই অসাধারণ কর্মস্পৃহা গ্রাহকবান্ধব সংস্কৃতির প্রতিফলন।
বোর্ডের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার— আমানতকারীর অর্থ নিরাপত্তা। খারাপ ঋণ ও অডিট ইস্যুতে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। গ্রাহকের অর্থ সুরক্ষায় নেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ। ব্যাংকের যেকোনো গ্রাহকের প্রয়োজনীয় ও প্রত্যাশিত পরিষেবাগুলো যাতে সবার আগে ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিতে “SERVICE FIRST” বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
যখন অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডলার ঘাটতি ও তারল্য সংকটে ভুগছে, তখন প্রিমিয়ার ব্যাংক দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে: প্রতিদিন প্রিমিয়ার ব্যাংকের সকল শাখার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে এলসি (LC) খোলা হচ্ছে, যা ব্যাংকের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার প্রমাণ। গ্রাহকরা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ মানের সেবা, যেখানে দক্ষতা, যত্ন ও আস্থার উপর নতুন গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২৫ বছরের অগ্রযাত্রায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক ব্যবসা ও ব্যক্তিগত গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দিয়ে গড়ে তুলেছে উৎকর্ষতার ঐতিহ্য। আজ নতুন বোর্ড ও ভবিষ্যতমুখী কৌশলের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা রক্ষা ও সেবার মানোন্নয়নে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে প্রিমিয়ার ব্যাংক আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।