জার্মান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন সংস্থা টিইউভি রাইনল্যান্ড থেকে ‘রিয়েল কোয়ান্টাম ডট ডিসপ্লে’ সার্টিফিকেট অর্জন করেছে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি। কোয়ান্টাম ডট সেমিকন্ডাক্টরের অতি ক্ষুদ্র অংশ যা অধিকতর পিওর ও ভাইব্রেন্ট রঙ উৎপন্ন করতে পারে। সেই সাথে এর শতভাগ কালার ভলিউম স্ক্রিনে নীল রঙের আধিক্য কমিয়ে টেলিভিশন দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক করে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি স্ক্রিনের সব দিকে সমান উজ্জ্বলতা নিশ্চিত করে। ফলে, যেকোনো দিক থেকে স্ক্রিনে রঙের কোনো তারতম্য ছাড়াই টিভি দেখা যায়। উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তি প্যান্টন এবং ভিডিই কর্তৃক অনুমোদিত। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসা নতুন কিউ৮এফ এবং ইউ৭এফ কিউএলইডি ৪কে মডেলগুলোও এই সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
ইন্টারন্যাশাল ইলেক্ট্রটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি) -এর নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে টিইউভি রাইনল্যান্ড। যার মাধ্যমে টিইউভি রাইনল্যান্ড কিউএলইডি টিভির লাইট স্পেকট্রাম (আলোক বর্ণালী) বিশ্লেষণ করে। ফলাফলে দেখা গেছে, লাল, সবুজ ও নীল আলোর মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা রঙের নিখুঁততা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। এটি টেলিভিশনের দৃশ্যকে দর্শকের কাছে নিখুঁত ও প্রাণবন্ত করে তুলে।
স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ডিভিশন এর ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর এই অর্জন সম্পর্কে বলেন, “স্যামসাং-এ আমরা সবসময় আমাদের গ্রাহকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই সার্টিফিকেশন প্রমাণ করে যে, কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি কিউএলইডি টিভিগুলো ছবির সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে। স্যামসাং-ই একমাত্র টিভি ব্র্যান্ড যেটি এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রাহকের চাহিদার বিবেচনা করে, স্যামসাং এবার কিউএলইডির ৪৩” থেকে ৮৫” পর্যন্ত পুরো লাইনআপ বাজারে এনেছে। আমাদের ২০২৫ সালে বাজারে আসা এই টিভিগুলো বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা ভীষণ গর্বিত।”
আরেকটি বৈশ্বিক যাচাইকরণ সংস্থা জেনারেল সোসাইটি অফ সার্ভিল্যান্স (এসজিএস) থেকেও স্যামসাং-এর কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এই পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, স্যামসাং-এর টিভিগুলো ক্যাডমিয়াম-মুক্ত ও পরিবেশবান্ধব। ক্ষতিকর ভারী ধাতু অপসারণের মাধ্যমে স্যামসাং দেখিয়েছে যে, উদ্ভাবন ও স্থায়িত্ব একসাথেই চলতে পারে।
স্যামসাং-এর এই অর্জনগুলো প্রমাণ করে যে, তারা ডিসপ্লে প্রযুক্তির জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য উন্নতমানের হোম এন্টারটেইনমেন্টের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।