বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টানা ১৩ মাসে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স, আগাস্টে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:২৫

চলতি বছরের আগাস্টে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৪২ কোটি (২ দশমিক ৪২ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।গত বছরের আগাস্টে রেমিটেন্স এসেছিল ২২৪ কোটি (২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন) ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ পরিমাণ রেমিটেন্স আসার কথা বলেছেন।এ নিয়ে টানা ১৩ মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠালেন বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা। ২০২৪ সালের আগাস্ট থেকে রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে দুই বিলিয়ন ডলার আসা শুরু হয়েছিল।আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্টে) মোট ৪৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৪১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৭৬ কোটি ২০ ডলার বেশি এসেছে। যা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে মাসটিতে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহে দেখা যায়, জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার, মে: ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন: ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।বিগত সরকারের সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমেছিল। তবে রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতে উচ্চ প্রবাহের কারণে এখন বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। সরকার পতনের সময় যা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে।রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকার বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, হুন্ডি বন্ধ করতে পারলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আসা আরও বাড়বে। তাতে ডলার বাজারের অবস্থাও আগের চেয়ে ভাল হবে। ডলারের যোগান বাড়ার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে নিলামে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে নতুন বিনিয়োগ কম। ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ করছেন না বলে মূলধন যন্ত্রপাতির আমদানি কম। তাতে ডলার চাহিদা কম রয়েছে। তবে নির্বাচনের পর নতুন সরকার এলে আমদানি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন ডলার দর কত থাকবে এবং আগের মত আবার হুন্ডি ব্যবসা চাঙ্গা হয় কিনা সে দিকটা দেখার বিষয় রয়েছে।চলতি বছরেই ডলারের দর বাজারভিত্তিক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ডলার দর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর