আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইন্টারপোলসহ অন্য যেসব প্রক্রিয়া আছে, তা অনুসরণ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রবল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও দেশটির দুর্নীতি নিবারণের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায়নি বলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে টিউলিপকে দালিলিকভাবে দায়েরকৃত মামলা আদালতে উপস্থিত হয়ে মোকাবিলা করারও পরামর্শ দিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান।
এদিন ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ ৭২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলার কথা জানিয়েছে দুদক।
অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে সংস্থাটি অনুসন্ধান করছে বলেও জানান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সাকিব আল হাসান ভবিষ্যতে দুর্নীতি মামলার আসামি হতে পারেন বলেও জানান তিনি।
দুদকের মামলার আসামি শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত আনার বিষয়ে দুদক কোনো উদ্যোগ বা ব্যবস্থা নিয়েছে কি না- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দুদক হচ্ছে প্রসিকিউটর। অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু আমরা করি না। এটা আদালতের কাজ। দ্রুত সময়ে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট আপনারা পাবেন। আসামি অ্যাবসকন্ডিং (পলাতক) হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে সে আসামিকে ফেরত আনার জন্য প্রক্রিয়া আছে। ইন্টারপোলসহ অন্য যেসব প্রক্রিয়া আছে, আমরা সেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। আন্তর্জাতিক প্রসিউকিউটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ আছে। আমরা সেভাবে আগাবো।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংবা দুর্নীতিগ্রস্ত একজন সাধারণ জনগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি যিনি পালিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন, তার জন্য আমার যে প্রক্রিয়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পলাতক শেখ হাসিনার জন্যও একই প্রক্রিয়া। কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ প্রধানমন্ত্রী নন, সে ক্ষেত্রে আমাদের কার্যক্রমের কোনো হেরফের নেই।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আরও যেসব আসামি চলে গেছেন, আপনারা দুদকের সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করুন। সব আসামিকে ধরে রাখার সেই ক্ষমতা দুদকের হাতে নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি যখনই আমাদের হাতে সংবাদ আসছে, তখন আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য এজেন্সি আছে, তারা যেন ওই আসামিকে কিংবা অভিযুক্তকে দেশ থেকে বের হতে না দেন, সে চেষ্টা করছি।’
দুদক গ্রেপ্তার অভিযান চালাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুদক কিন্তু পুলিশি প্রতিষ্ঠান না। দুদককে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে হয়। আমরা সবাই মোটামুটি জানি, বড় বড় আসামিরা কে দেশে আছে, আর কে দেশে নেই। সে ক্ষেত্রে যারা দেশে নেই, তাদের একটা আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফিরিয়ে আনতে হবে। যেটা একটা কঠিন প্রক্রিয়া। এটা আমাদের শিকার করতে হবে। আর যারা দেশে আছেন তাদের প্রতি আমরা কতটা সদয় আর কতটা নির্দয় বা কতটা অবজেকটিভ, সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।’
দুদক আগের নিয়মেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে কাজ করছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন রুলিং পার্টি কারা। আমরা কাজ শুরু করি ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। এ পর্যন্ত দুদক থেকে ছাড়া পেয়েছে এমন একটা নামও বলতে পারবেন না। আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছেন। আদালত তো আমার বিষয় না। দুদক দল নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা কোনো বিশেষ দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করিনি।’
এ সময় পাশে থাকা দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, ‘দুদক দুশমন দমন কমিশন নয়। দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের কাজ দোষী চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়ে কোর্টের কাছে তথ্য-উপাত্তসহ তাদের সোপর্দ করা। এরপর কোর্ট বিচার করবেন।’
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত একটিমাত্র মামলাতে কিছু টাকা ফেরত এসেছে। সে টাকা আনতে যে ব্যয় হয়েছে, তা খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনাটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি অন্তত কিছু অংশ হলেও যাতে ফেরত আনতে পারি।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়ে ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় বহুমুখী আর্থিক ও প্রযুক্তিগত উদ্যোগ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সম্মান আমরা লাভ করেছি। সেখানে থাইল্যান্ডের জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে Bilateral Co-operation on Preventing and Fighting Corruption সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। সমঝোতা স্মারকে বর্ণিত নানা সহযোগিতা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উভয় দেশকে সক্ষম ও শক্তিশালী করে তুলবে।
তিনি বলেন, আমাকে থাইল্যান্ডের সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছেন- মোমেন কমিশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? আমি বলেছি, দুদক এখনো সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান না হলেও আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি। আমরা বিশ্বাস করি এ ধারাটি অব্যাহত থাকবে।
‘টিউলিপের দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায়নি বলেই পদত্যাগে বাধ্য হন’
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রবল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও দেশটির দুর্নীতি নিবারণের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায়নি বলে এমন ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে টিউলিপকে দালিলিকভাবে দায়েরকৃত মামলা আদালতে উপস্থিত হয়ে মোকাবিলা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ছোট সংবাদ কণিকার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত মিস টিউলিপ সিদ্দিকের বিলেতি আইনজীবীর পাঠানো পত্রের জবাব আমরা প্রদান করিনি; স্কাই নিউজের সূত্র উল্লেখ করে অভিযুক্ত বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি।
তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করুন দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিতে পারেননি বলেই ব্রিটেনের দুর্নীতি নিবারণের মন্ত্রী মিস টিউলিপ সিদ্দিক সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রবল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। দুদক তার আইনজীবীকে এবং আইনজীবীর মাধ্যমে মিস টিউলিপ সিদ্দিককে জানিয়ে দিয়েছে- সম্পূর্ণভাবে দালিলিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই আদালতে দুর্নীতির চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আদালতে হাজির হয়ে তারা যেন অভিযোগের মোকাবিলা করেন। এটি কম্পাউন্ডে বল কোনো মামলা নয় (গুরুতর আইনি বিষয় যা সহজেই আপসযোগ্য নয়), চিঠি লেখালেখি করে এ মামলার পরিণতি নির্ধারিত হবে না। আদালতেই তা নির্ধারিত হবে। আদালতে তার অনুপস্থিতি অপরাধমূলক পলায়ন বলে বিবেচিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এর মধ্যে শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিটে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের বিশেষ ক্ষমতাবলে শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজের ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের রূপান্তরিত নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দের অভিযোগ আনা হয়।
৭২২ কোটি টাকার লেনদেন, স্ত্রীসহ হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা
ছয় কোটি ৬৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৭২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেন, মামলায় হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তার নিজ, যৌথ ও প্রতিষ্ঠানের নামের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার কথাও জানান দুদক চেয়ারম্যান।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক কমলেশ মণ্ডল বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন।
অন্য মামলায় হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তার নিজ, যৌথ ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকার সন্দেজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অস্বাভাবিক লেনদেনে অপসহায়তার অভিযোগে এ মামলায় হাছান মাহমুদকেও আসামি করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন- ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে রয়েছেন সাকিব আল হাসানও
দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি ভবিষ্যতে দুর্নীতি মামলার আসামি হতে পারেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি (অর্থ পাচারের অভিযোগ) আমাদের অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। অনুসন্ধানের পরে বোঝা যাবে।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ২০২২ সালে তাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর থেকে বাদ দেয় দুদক।
প্রসঙ্গত, জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ২৮ আগস্ট দুদকে একটি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী। আবেদনে সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা ও জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, স্বর্ণ চোরাচালানে সম্পৃক্ততা, প্রতারণার মাধ্যমে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ, ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। আর গত বছরের ৮ নভেম্বর সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।