বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তামাবিল স্থলবন্দরে মাসে ৩ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি: দুদক

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৩:৫৩

দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার জানান, তামাবিল স্থলবন্দরে লোড আনলোডের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, ৫ টনের ট্রাকে আসছে ১০ থেকে ১২ টন পণ্য। প্রতি ট্রাকে ৫ থেকে ৬ টন পণ্য বেশি আসছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক আসছে। সে হিসাবে দিনে ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর মাসে হারাচ্ছে ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ঘোষণার চেয়ে অধিক পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

প্রতি মাসে পণ্য খালাসে তিন কোটির বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয় এ স্থলবন্দরে।

তামাবিল স্থলবন্দরে বৃহস্পতিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে এ কথা জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মকর্তা।

তিনি জানান, এসব বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে অভিযোগ পায়নি তারা। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ওজন থাকলে কাস্টমস নিয়মিত মামলা করছে।

গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের চার সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানকালে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার জানান, তামাবিল স্থলবন্দরে লোড আনলোডের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, ৫ টনের ট্রাকে আসছে ১০ থেকে ১২ টন পণ্য। প্রতি ট্রাকে ৫ থেকে ৬ টন পণ্য বেশি আসছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক আসছে। সে হিসাবে দিনে ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর মাসে হারাচ্ছে ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।

তিনি জানান, তামাবিলে হুসনে আরা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোড-আনলোডের কোনো কাজ না করেই গত অর্থ বছরে (২০২৩-২০২৪) প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযানে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‌‌‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ওজন থাকলে কাস্টমস নিয়মিত মামলা দায়ের করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর