বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলসি সংক্রান্ত সব বকেয়া এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: গভর্নর

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২১:০৩

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এই ঋণপত্রগুলো খোলার জন্য দায়ী ব্যক্তি কারা সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে- এস আলম বা বেক্সিকো গ্রুপের মতো রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের প্রভাবে এগুলো খোলা হয়েছে।’

লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) সংক্রান্ত সব বকেয়া পাওনা এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, এলসি সংক্রান্ত বকেয়া আমরা শূন্যে নামিয়ে আনতে চাই এবং আশা করছি এক মাসের মধ্যে এটি করতে সক্ষম হব।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যালয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বাসসকে এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘আমরা ব্যাংকগুলোকে বলেছি- আপনারা যেহেতু এটি খুলেছেন, আপনাদেরই এটি নিষ্পত্তি করতে হবে। ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের ওপর দোষ চাপাতে পারে। কিন্তু একটি নিয়ন্ত্রক হিসেবে তারা এটি খুলেছে এবং তাদের অবশ্যই এটি নিষ্পত্তি করতে হবে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আর্থিক, শ্রম এবং বাণিজ্য, রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

‘আর্থিক খাত এবং শ্রম ও রাজনৈতিক অস্থিরতা- এ দুটি প্রধান কারণে বাণিজ্য প্রভাবিত হয়েছে। আমি এতটুকু বলতে পারি, এই দুটি ফ্রন্টে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আমরা ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বকেয়া শোধ করেছি। এখন আমরা এটিকে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি (১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত)।’

এই ৩০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যায়ন বিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘এই ঋণপত্রগুলো খোলার জন্য দায়ী ব্যক্তি কারা সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলছে।

‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে- এস আলম বা বেক্সিকো গ্রুপের মতো রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের প্রভাবে এগুলো খোলা হয়েছে।’

ড. মনসুর বলেন, ‘তবে ভালো কথা হল, রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে আমাদের চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে।... গত পাঁচ মাসে দেশে রেমিট্যান্স ২৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অস্থিরতা সত্ত্বেও, আমাদের রপ্তানি বর্তমানে ১৫ শতাংশের বেশি। এটি আমাদের বকেয়া কমাতে সক্ষম করেছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে অন্যান্য সমস্যা সমাধানে এটা আমাদের সাহায্য করবে, যা আমাদের রপ্তানি ও আমদানির গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এলসি খুলতে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হই। এজপোজার সীমা কমিয়ে ফেলায় অনেক ব্যাংক আমাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। তাই আমরা এটাকে পুরনো সীমায় ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা করছি। কিন্তু আমাদের আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এলসি খোলার পরিমাণও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর