চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার ৯৮ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি।
হাইকোর্টে রোববার দাখিল করা এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট অর্থের ৫০ শতাংশেরও বেশি (২৫ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা) ইতোমধ্যে খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাকি টাকাও খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, ‘কিস্তি পরিশোধ না করলে শ্রেণীকৃত অর্থের বেশিরভাগই অদূর ভবিষ্যতে খেলাপি হয়ে যাবে।’
প্রতিবেদনটিতে আরও ১৬টি তফসিলি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যেগুলো বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। এর মধ্যে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ, ঋণের মেয়াদ বাড়ানো, অতিরিক্ত ঋণদান, এলসিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা রয়েছে।
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, জনতা ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের ২৯টি ও আইএফআইসি ব্যাংক ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে।
এছাড়াও ন্যাশনাল ব্যাংক নয়টি, সোনালী ব্যাংক চারটি, অগ্রণী ব্যাংক চারটি, এবি ব্যাংক ছয়টি ও এক্সিম ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের পাঁচটি কোম্পানিকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। অন্যান্য ব্যাংক বেক্সিংমকো গ্রুপের অন্তত একটি কিংবা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের চর্চা অর্থ পাচার ও কর ফাঁকির মতো ঘটনাগুলো বৃদ্ধি করতে পারে। প্রতিবেদনে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।