শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘দেশে একটা বিপ্লব হয়েছে। বিপ্লবের পর সাধারণত কোনো কিছু আগের সিস্টেমে চলে না। কিন্তু আমরা এখনও সিস্টেম ধরে রেখেছি। প্রশাসনের কারও কারও অসহযোগিতার কারণে দেশে স্থবিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভাঙা হবে। অসহযোগিতাকারীদের স্থলে নতুন নিয়োগ নিয়েও ভাববে সরকার।
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং জেলা দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সিন্ডিকেটগুলোর উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করতে হবে। যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাজার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
‘প্রাইভেট সেক্টর ও উদ্যোক্তাদেরকে নিয়ে সিন্ডিকেটকে বাইপাস করে একটা স্থায়ী সমাধানের পথে এগুতে হবে। বিগত কিছু বছর ধরে কৃষি উদ্যোক্তা এবং শ্রমজীবী থেকে শুরু করে তরুণ সমাজ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কোনো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী দল যাতে আপনাদের বাধা দিতে না পারে সেজন্য সরকার ও প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকারকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে যাতে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকায় বাণিজ্য সচিব নিজে গিয়ে এ কাজ পরিচালনা করছেন। ট্রাক সেলের মাধ্যমে কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে পরিকল্পনা সেটা ঢাকায় চালু হয়েছে। চট্টগ্রামেও শিগগির এটা চালু করতে হবে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সেজন্য ছাত্ররা নিজ উদ্যোগে আগামীকাল রোববার থেকে বাজার স্বাভাবিক রাখার জন্য কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য নিয়ে এসে বাজারজাত করবে।’
এর আগে সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহম্মদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. রায়হান উদ্দিন খান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জুলাই বিপ্লবের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, মোহাম্মদ রাসেল ও জুবাইদুলসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।