বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখবে অন্তর্বর্তী সরকার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:১৩

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বৈঠকে সর্বজনীন পেনশনের চারটি স্কিম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তিনি এগুলো চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।’

বিকল্প নতুন কোনো পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সোমবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠক করেন। বৈঠকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সার্বিক বিষয় ও চলমান কার্যক্রম অর্থ উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টার সম্মতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সোমবার একটি বৈঠক করেছেন। এ সময় স্কিম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। স্কিমটি যেভাবে চালু আছে সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে আমরা সামনের দিকে কী করব, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে চারটি স্কিম রয়েছে সেগুলো এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা কী করেছি সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছি। তার আলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশনের কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।’

পেনশন স্কিমের চাঁদা বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। সম্পূর্ণই সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।’

দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।

গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা- প্রাথমিকভাবে এই চারটি স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু হয়। পরে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।

গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কার্যকর হয়। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ৯৪ জন। আর তাদের জমা দেয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন দরিদ্ররা, যাদের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। এই আয়ের মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমের মাসিক চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০০ টাকা স্কিম গ্রহণকারী দেবেন এবং বাকি ৫০০ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দু’লাখ ৮৫ হাজার জন। আর জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ ৪০ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের ৭৭ শতাংশই দরিদ্র মানুষ।

অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পেনশন স্কিমে নিবন্ধন কাজের গতি অনেকটাই কমে গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে যখন প্রচারণা চালাবে তখন গতি আবার আগের পর্যায়ে চলে আসবে। নিবন্ধনের হারও অনেক বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর