পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বায়িং হাউজের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল সেটা দৃশ্যমান হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই দৃশ্যমান হয়েছে। অনেক বিষয়ই দৃশ্যমান। যেমন খেলাপি ঋণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংকে সমস্যা ছিল সেগুলো রি-অর্গানাইজ করা হচ্ছে। লিকুইডিটির যে সমস্যা ছিল সেটা সমাধান করেছেন গভর্নর।
‘আমরা অলরেডি বলে দিয়েছি যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একই সঙ্গে সংস্কারের বিষয়ে কথাবার্তা বলেছি। এগুলো একেবারে দৃশ্যমান।’
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি, এগুলো যাতে নিশ্চিত করে সেই নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ, মাংস, ডিমের বিষয়ে কথা বলেছি, বাজার মনিটরিংয়ের কথা বলেছি।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সরকার কমাতে পেরেছে কি না- এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘না, জিনিসপত্রের দাম সেভাবে কমছে না। অনেক কারণে দাম বেড়ে গেছে। সেটা চট করে টেনে নামিয়ে আনা যাবে না। তবে দৃশ্যমান কমেছে কি না সেটা কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পারবেন।’
বায়িং হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা বলেছেন ডিরেক্টর ছাড়া বায়িং হাউজের মাধ্যমে অনেক সময় অর্ডার দেয়া হয়। রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। এমন কিছু কিছু ব্যাপার রয়েছে। যেমন ইপিবির রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক, অর্ডারের বিষয়ে সমস্যার সমাধান করলে রপ্তানি বাড়বে।
‘আমরা বলেছি রপ্তানি আরও বেড়ে ৫০ বিলিয়ন হবে। আর তারা বলেছেন ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। আমি বলেছি- এটা আমরা দেখব, যেটা ভালো হয় সেটা করব।’