বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৫৪

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগেই গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে কালো টাকা করার সুযোগ রহিত করা হচ্ছে। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে অনৈতিক সেই সুযোগের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে এনবিআর।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুন মাসে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার বিষয়টি। মাত্র ১৫ শতাংশ ফি দিয়ে যেকোনোভাবে আয় করা কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেয়া নিয়ে সে সময় অসন্তোষ জানান সৎ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দেশের সচেতন নাগরিকরা। তবে কারো কোনো কথার তোয়াক্কা না করে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেই চূড়ান্ত বাজেট পাস করে।

এবার বাজেট পাসের মাত্র দু’মাস পার হতেই সেই সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা কয়েকদিন আগেই গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়া হয়েছি। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে এনবিআর।

পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় এনবিআর। সেখানে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে সমতাভিত্তিক কর ব্যবস্থার জন্য অন্তরায় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এনবিআর মনে করে, একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় এমন বৈষম্যমূলক নিয়মে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন। পাশাপাশি অসৎ উপায়ে আয় করা ব্যক্তিরা অসৎ পথে অর্থ উপার্জনে আরও উৎসাহিত হবে।

সম্প্রতি পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনা সরকার চলতি বাজেটে এক বছরের জন্য নগদ টাকা, জমি, ফ্ল্যাট-প্লটসহ স্থাবর সম্পদ কেনার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল।

সৎ উপায়ে আয় করা ব্যক্তিকে যেখানে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর দিতে হয় সেখানে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের তীব্র সমালোচনা হয়। এই সুযোগকে অনৈতিক ও সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায় হিসেবে বর্ণনা করেন প্রায় সব অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষক। তবে বাজেটে শেষ পর্যন্ত সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছিল, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করল।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ক’দিন আগেই কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। গত সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার এনবিআর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করা হলো।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার জীবনের একমাত্র বাজেটে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কালো টাকা সাদা করার কথা বলেন। তার যুক্তি ছিলো, এতে অপ্রদর্শিত বিপুল অর্থ প্রদর্শিত হয়ে মূলধারার অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। যদিও কালো টাকা সাদা করার সুযোগের সদ্ব্যবহার হতে দেখা যায়নি কখনোই।

তবে জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়াটা এবারই প্রথম নয়। প্রায় সব সরকারের আমলেই কম-বেশি এমন সুযোগ দেয়া হয়েছে। বহুবার এই সুযোগ দেয়া হলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাদা হতে দেখা যায়নি।

এনবিআর সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে।

বাস্তবতা হলো, যে পরিমাণ কালো টাকার অস্তিত্ব রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, সে তুলনায় এই অংকা নিতান্তই সামান্য।

এ বিভাগের আরো খবর