বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেমিট্যান্স প্রবাহে চমক দেখাচ্ছেন প্রবাসীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ২০:৫৮

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি আগস্ট মাসের ১ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৭১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। গত বছরের এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

সদ্যপদত্যাগী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কোটা সংস্কার দাবিতে যখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় তখন প্রবাসীদের একটি বড় অংশ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাবে না বলে জানায়। তাদের বক্তব্য ছিল- একের পর এক শিক্ষার্থী হত্যা বন্ধ করতে হবে। নয়তো তারা রেমিট্যান্স পাঠাবেন না।

রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের এমন ঘোষণার পরও গত জুলাই মাসের শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসাব দিয়েছিল তাতে দেখা যায় প্রবাসী আয় খুব বেশি কমেনি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে তৈরি করা প্রবাসী আয়ের এই হিসাব নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। শেষ সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাড়তি প্রবাসী আয় দেখিয়েছে বলেও অভিযোগ ছিলো।

অবশ্য আগস্ট মাসের ৫ তারিখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর অনেক প্রবাসীই বৈধ পথে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাবেন বলে তাদের অভিমত তুলে ধরেন। ইতোমধ্যে সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি আগস্ট মাসের ১ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৭১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এমন তথ্য জানা গেছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১ থেকে ২৪ আগস্ট সময়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিলো ১৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। আবার জুলাই মাসের শুরু থেকে ধরে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। যেখানে এর আগের বছর একই সময়ে এসেছে ৩২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এই সময়ের হিসাবেও প্রবাসী আয় বেড়েছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ।

আগস্ট মাসের প্রথম ২৪ দিনে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে তাতে দেখা যায়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৮ কোটি ডলার। এছাড়া ‍বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৬ কোটি ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। তবে এ সময়ে নয়টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা।

এ বিভাগের আরো খবর