অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর দেশের সর্ব বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি বাণিজ্য কমে গেছে। অপরদিকে এই সময়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আগে প্রতিদিন ভারত থেকে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করত। এখন সেখানে প্রতিদিন আসছে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক।
আর আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হতো প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক পণ্য। এখন সেখানে রপ্তানি হচ্ছে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। দূরত্ব কম হওয়ায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আমদানি বাণিজ্য করতে এই বন্দর বেশি ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য তার সিংহভাগই হয় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।
গত এক সপ্তাহের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিসংখ্যান হিসাব করে দেখা যায়, গড়ে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২৭৩ ট্রাক পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এবং বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে প্রতিদিন ১৯০ ট্রাক পণ্য।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্সের বাংলাদেশ অংশের সাব-কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, ডলার সংকটে খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্য আমদানিতে চাহিদামতো এলসি খুলতে না পারায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘দেশে ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় এক মাস আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারেননি। তারপরও ডলার সংকটের কারণে ঠিকমতো এলসি খুলতে না পারায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্যে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব সরকারের রাজস্ব খাতেও পড়েছে। তবে আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে আগের মতো আমদানি বাণিজ্য শুরু হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘এলসি কমে যাওয়ায় আমদানি বাণিজ্য কমে গেছে। তবে বৃদ্ধি পেয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়ার কারণে কমেছে রাজস্ব আহরণও। এলসি খুলতে পারলে এবং ডলারের সমস্যা মিটে গেলে আমদানি বাড়বে।’