রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে মনে করেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি মনে করেন, ডলার সংকট থাকলেও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে দেশের সামর্থ্য রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সময়মতো বৈদেশিক ঋণের সব কিস্তি পরিশোধ করব। আমাদের অবস্থা এত খারাপ না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট যেটা আছে, তা রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। বাইরে থেকে অনেকে বলছে কিছুই নাই। কথাটা ঠিক নয়।’
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে ‘এক্সট্রা এফোর্ট (বাড়তি প্রচেষ্টা) দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জিডিপির তুলনায় আমাদের ঋণ এত বেশি না। ইতালি ও গ্রিসের অবস্থাও ভালো না।’
ওই সময় আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে ৫০০ টাকার জিনিস পাঁচ হাজার টাকায় কেনে। ভাবখানা এমন এটা পরিশোধ করা লাগবে না। এটা চলবে না।’
মূল্যস্ফীতির হিসাব নিয়ে এখন থেকে কারচুপি চলবে না জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাড়িয়ে বা কমিয়ে নয় বরং প্রকৃত মূল্যস্ফীতি এবং মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির তথ্য প্রকাশ করা হবে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘কয়েক দিনের স্থবিরতার কারণে ভেঙে পড়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল, যার প্রভাবে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়, তবে এখন বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে।’তিনি বলেন, ‘সবকিছু স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমে আসবে।’
উপদেষ্টা জানান, শুধু জরুরি প্রকল্প ব্যয়ে অর্থের জোগান দেয়া হবে। কম টাকা ব্যয় করে বেশি সুফল মেলে, এমন সব প্রকল্পে অর্থ ছাড় করা হবে বেশি।
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক নানা সূচকে তথ্যের গরমিল এখন থেকে আর হবে না। পরিসংখ্যান ব্যুরো যাতে আরও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে।