বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুলাইয়ে রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ আগস্ট, ২০২৪ ২৩:১৬

বিবিএসের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ; যা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, এই মাসে শুধু খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

নতুন সরকারের সামনে যে কয়েকটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম দেশে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা। সে যাত্রায় প্রথমেই ধাক্কা খেতে যাচ্ছেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম মাসের প্রাপ্ত মূল্যস্ফীতির হিসাবেই রেকর্ড দেখতে হচ্ছে তাকে। যদিও জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতির উত্থানে তৈরি করেছে ১২ বছরের রেকর্ড। যদিও মূল্যস্ফীতির এই হিসাব রক্তক্ষয়ী জুলাই মাসের।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ; যা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

শুধু তাই নয়, এই মাসে শুধু খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। এর আগের মাস জুনে তা ছিলো ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে করা এই সূচক।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ মানে হলো এর আগের বছরের চেয়ে এখন ১৪ শতাংশ বেশি দামে খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে। আরও সহজ করে বললে, গত বছরের জুলাইয়ে ১০০ টাকায় যে পরিমাণ খাদ্যপণ্য পাওয়া যেত তা কিনতে এ বছর জুলাইয়ে গুনতে হয়েছে ১১৪ টাকা ১০ পয়সা।

খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়েছে জুলাইয়ে। এই মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, জুন মাসে যা ছিলো ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই জায়গায় মূল্যস্ফীতি বাড়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতিও ছাড়িয়েছে দুই অংকের ঘর।

অবশ্য গত প্রায় দুই বছর ধরেই মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরকারি হিসাবে গত কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি ছিলো দশ শতাংশের কিছুটা নিচে।

অর্থনীতিবিদরা অবশ্য মনে করেন, সরকার হিসাবে গরমিল করে মূল্যস্ফীতি কম দেখিয়ে এসেছে। বাস্তবে মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৫ শতাংশ ছিলো।

এ বিভাগের আরো খবর