চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের ব্যাংক খাত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে চলছে বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। তার পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যাংকে শীর্ষ পদের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ নিয়ে চলছে বিক্ষোভ।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে এক শ্রেণির গ্রাহকের মধ্যে। এ কারণে ব্যাংক ও এটিএম বুথগুলোতে শুরু হয়েছে নগদ টাকার সংকট।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার কোনো গ্রাহককে এক লাখ টাকার বেশি না দিতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, এটি শুধু বৃহস্পতিবারের জন্য প্রযোজ্য হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকাল থেকে মতিঝিল ও রাজধানীর অন্যান্য জায়গায় ব্যাংকের শাখাগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। কোনো কোনো গ্রাহক আতঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
চলমান অস্থির পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। ফলে ব্যাংকের শাখাগুলোতেও নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি এটিএম বুথগুলোও নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
অনেক জায়গায় এটিএম বুথে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মনির নামের একজন গ্রাহক জানান, তিনি তার পারিবারিক কারণে মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছিলেন। তিন লাখ টাকার চেক দিলেও তাকে দেয়া হয়েছে এক লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের শাখাগুলোতে এখন ঈদের আগের শেষ কর্মদিবসের মতোই ভিড়। আমাকে বাকি টাকার জন্য রোববার আসতে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যাংকার জানান, এমন নিয়ম আগেই করার প্রয়োজন ছিল। রাজনৈতিক কারণে এখন যারা গা ঢাকা দিয়েছে তারা কিংবা তার স্বজনরা টাকা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তার ভাষ্য, ‘আজকে সন্ধ্যায় সরকার গঠন হলে আর পুলিশ মাঠে দায়িত্বশীল হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
এ কর্মকর্তা আরও জানান, এটিএম বুথে যারা টাকা সরবরাহ করে থাকেন সেই থার্ড পার্টিরাও এখন নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে টাকা সরবরাহ করতে পারছেন না।