বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাপ না দিতে ক্রেতাদের প্রতি বিজিএমইএ’র অনুরোধ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ জুলাই, ২০২৪ ২২:৫১

বিশ্বের নামিদামি পোশাক ক্রেতা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেছে বিজিএমইএ। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ক্রেতাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট স্থবিরতায় টানা পাঁচদিন বন্ধ রাখতে হয়েছে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা। ফলে সময়মতো ক্রেতাদের অর্ডার বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে অনেক কারখানা।

‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে আবির্ভূত হয় ইন্টারনেট বন্ধ হযে যাওয়ার ঘটনা। পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে প্রথমে মোবাইল ইন্টারনেট ও পরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিটি পোশাক কারখানাকে পোহাতে হয়েছে ব্যবসায়িক ঝুঁকি।

তৈরি পোশাকের অনেক অর্ডার বাংলাদেশ থেকে সরে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্বের নামিদামি পোশাক ক্রেতা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ক্রেতাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) নেতৃত্বে সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ, রপ্তানিকারক ও ক্রেতাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গত ১৮ জুলাই শুরু হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো ক্রেতা প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান এস এম মান্নান (কচি)। তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে ও সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমরা বিজিএমইএর পদক্ষেপগুলো ক্রেতাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি।’

অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন কোনো বাড়তি চাপ দেয়া না হয় সে বিষয়ে ক্রেতাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেছেন বলেও জানান তিনি। অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতির প্রভাব কমাতে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও ক্রেতাদের জানানো হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি এবং দ্রততম সময়ে কারখানা চালু করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ শিল্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছি।’

সরকারের সহায়তায় সংকট কাটিয়ে অল্প সময়ে কারখানা চালু করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইন্টারনেট দ্রুত চালু করতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জোর দাবির কথাও জানানো হয় সভায়। ক্রেতা প্রতিনিধিদের জানানো হয়, সবার অনুরোধে ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে সরকার দ্রুত এই সেবা চালু করেছে।

রপ্তানিকারকরা জানান, সামনে শীত মৌসুমের অর্ডার থাকলেও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে তাতে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে।

উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে তাই শীতের অর্ডার না কমানোর অনুরোধ করেন পোশাক ব্যবসায়ীরা।

টানা পাঁচদিন কারখানাসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ হওয়ার বড় অংকের আর্থিক ক্ষতির কথাও জানান বিজিএমইএর সভাপতি। তবে দ্রুত এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবে বলেও ক্রেতাদের আশ্বস্ত করেন বিজিএমইএর নেতারা। সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে বলেও ক্রেতাদের জানানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর