বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারফিউ ও অস্থিরতার প্রভাব পুঁজিবাজারে, বড় দরপতন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৫০

বুধবার সকাল থেকেই কমতে দেখা যায় প্রায় সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। দিনশেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ৯৬ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ১৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কারফিউয়ের নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেল পুঁজিবাজারে। অর্থনীতির এই খাতটিকে বলা হয় সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা। সেই স্পর্শকাতর জায়গায় তিনদিন পর লেনদেন শুরু হলেও স্বস্তি ছিলো না বিনিয়োগকারীদের মনে।

বুধবার সকাল থেকেই কমতে দেখা যায় প্রায় সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। দিনশেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ৯৬ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ১৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

লেনদেন ও সূচকের পতন নিয়ে মতিঝিলের একটি ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা তামজিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একদিকে বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি কম অন্যদিকে ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে লেনদেন তলানিতে নেমেছে। বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি ভালো হলে সূচকের পতন হলেও হয়ত লেনদেন ভালো হতো। আবার লেনদেন বাড়লে সূচকের এত বেশি পতন হতো বলে মনে হয় না।’

দেশজুড়ে ভাংচুর, দফায় দফায় সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও থামাতে গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড কানেকশন। রবি থেকে মঙ্গলবার অর্থাৎ গেল তিনদিন বন্ধ রাখা হয় দেশের সব অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজার।

ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে একপ্রকার আতংক ছিলো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও। অনেকের হাতে থাকা টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় শেয়ার বিক্রির প্রয়োজনও পড়ে। যার প্রভাবে বুধবার সূচকের বড় পতন হয়েছে বলে মত দিয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী।

পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হানিফ মিয়া বলেন, ‘আজকে লেনদেন শুরু হবে আমি জানতাম না। দুদিন ধরে ভাবতেছি লেনদেন শুরু হলে হাতে থাকা কিছু শেয়ার বিক্রি করব। অন্যান্য দিকের আয় কমে গেছে। তাই নিত্যদিনের খরচ যোগাতে শেয়ার বিক্রির কথা ভাবছিলাম। তবে দুপুরের দিকে ফোন দিয়ে জানলাম আমার হাতে থাকা শেয়ারের কোনো ক্রেতা নাই।’

আরেক বিনিয়োগকারী হারুন শেখ বলেন, ‘বুঝলাম না কেন এভাবে আজকে শেয়ারের দাম কমল? আমার হিসাবে আজকে দাম বাড়ার কথা। কারণ আন্দোলন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এখন কেন শেয়ারের দাম এভাবে কমবে আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না। পুঁজিবাজার আসলে এখন হয়ে পড়েছে একটা অনাস্থার জায়গা। কারণ থাকলেও দাম কমে, কারণ না থাকলেও কমে।’

এদিকে বুধবার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা পড়ে শুরু হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। তবে লেনদেনের সময়ে স্বস্তি ছিল না ইন্টারনেট নিয়ে। ধীরগতির ব্রডব্যান্ডের কারণে ক্রয়-বিক্রয় আদেশ বসাতে গিয়েও বেগ পেতে হয় ব্রোকার হাউজের কর্মকর্তাদের। পাশাপাশি কাজ করেনি মোবাইল অ্যাপ দিয়ে লেনদেন ব্যবস্থা।

আবার রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের কারণে সময়মতো অনেক বিনিয়োগকারী হাউজে উপস্থিত হয়ে নিজের মতো করে লেনদেন করতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন অনেকে।

সব মিলে দিনটি মোটেই অনুকুলে ছিলো না বিনিয়োগকারীদের। ফলে সকাল থেকে বেশিরভাগ শেয়ারে ক্রেতাশূন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেয়া তিন শতাংশ সার্কিট ব্রেকারের কারণে বেশিরভাগ শেয়ারের বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা দেখা যায়নি।

এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ৩৫৫টি কোম্পানির। বিপরীতে দর বেড়েছে ২০টি কোম্পানির আর অপরিবর্তিত দেখা গেছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে।

এ বিভাগের আরো খবর