বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ জুন, ২০২৪ ২০:৪৮

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলা হয়, আইএমএফ ও অন্যান্য খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে রেমিট্যান্স মিলিয়ে বৃহস্পতিবার দিন শেষে চূড়ান্ত হিসাবে তা বেড়ে হয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আবারও সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার এবং অন্য ঋণদাতারা ৯০ কোটি ডলার ছাড় করায় রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। রিজার্ভ নিয়ে অবশ্য এর আগেই সুখবর দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্তায় বলা হয়, শুক্রবার চূড়ান্ত হিসাব শেষে দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলা হয়, আইএমএফ ও অন্যান্য খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে রেমিট্যান্স মিলিয়ে বৃহস্পতিবার দিন শেষে চূড়ান্ত হিসাবে তা বেড়ে হয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার আইএমএফের পাশাপাশি আইডিবি (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক), আইবিআরডি (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণের ৯০ কোটি ডলার পায় বাংলাদেশ। তখন সময়ের পার্থক্যের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন চলছিল। সে কারণে ওই দিনের চূড়ান্ত স্থিতি জানা গেল পরদিন শুক্রবার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ যেমন এসেছে, তেমনই আরও কয়েকটি উৎস থেকে ডলার যোগ হয়েছে।’

আইএমএফের সঙ্গে ঋণ চুক্তি অনুমোদনের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার হাতে পায় বাংলাদেশ। আর ১২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড় করা হয় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আরও চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

এর আগে ৮ মে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করার বিষয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে ঐকমত্যে পৌঁছে ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ।

ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থের ব্যবহার এবং শর্ত পূরণে অগ্রগতি দেখতে আইএমএফের রিভিউ মিশন ২৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে। ঋণের শর্ত হিসেবে বেশ কিছু আর্থিক ও নীতি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

এগুলোর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ব্যাংক ঋণে সুদ হারের ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেওয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের নিট হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী প্রকাশ, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ও পুঁজিবাজার উন্নয়নের মতো বিষয় রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর