জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের মূল প্রস্তাবগুলোর প্রতিফলন নেই বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সংগঠনের সভাপতি এস এম মান্নান কচি শনিবার বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ-এর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বাজেটে শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এগুলো বাজেটের ইতিবাচক দিক।
‘বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের এই প্রধান খাতটির জন্য কিছু নীতি সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হলেও মূল প্রস্তাবগুলোর প্রতিফলন প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। তবে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক প্রস্তাবনাগুলোকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘পোশাক শিল্প মালিকদের প্রত্যাশা ছিলো বাজেটে পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক কিছু নীতি সহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং এটিকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে আমাদের গভীর প্রত্যাশা ছিলো এবং আছে।
‘পাশাপাশি আরও প্রত্যাশা ছিলো- বাজেটে ইনসেনটিভের ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, এইচএস কোড ও ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, ইআরকিউয়ের ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর কর রেয়াত, পোশাক শিল্পের ঝুটের ওপর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট ও রিসাইকেল ফাইবার সরবরাহের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসবে। প্রস্তাবিত বাজেটে তা থাকাটা আমাদের জন্য হতাশার।’