আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তা পূরণ সম্ভব হবে না বলে ধারণা করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বাজেটের পরের দিন শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাজেট পর্যালোচনায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থাটির এমন ধারণার কথা জানান নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার। অর্থাৎ আগামী জুলাই থেকে তার পরের জুন পর্যন্ত সরকার ব্যয় করতে চায় এই অর্থ, যা এর আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বেশি।
ব্যয়ের বিশাল এ আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে আদায় হওয়া কর থেকে। এনবিআরের ওপর থাকছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা।
পর্যালোচনায় ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আরেকটি বিষয় যে, আমাদের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রাগুলি দেয়া হয়েছে, ২০২৫ (২০২৪-২৫) অর্থবছরে পাঁচ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের একটি লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে। আপনাদের মনে আছে যে, ২০২৪ অর্থবছরে রিভাইজড (সংশোধিত) বাজেটে যেটা ছিল, সেটা হচ্ছে চার লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এখন আমরা সিপিডির পক্ষ থেকে হিসাব করে দেখিয়েছিলাম যে, ২০২৪-এর যে লক্ষ্যমাত্রা, সেটা পূরণ করা সম্ভব হবে না এবং সেটা চার লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত আহরণ করা যাবে।
‘তো সেই প্রেক্ষিতে এই বাজেটের যদি তুলনায় দেখি, তাহলে রিভাইজড বাজেট ২০২৪-এর তুলনায় ২০২৫-এ সেটার (রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা) প্রবৃদ্ধিটা ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, কিন্তু যদি আমরা ঘাটতিটা দেখি এবং সিপিডির হিসাবটা মাথায় রাখি, তাহলে ওই চার লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা করতে গেলে প্রবৃদ্ধিটা কী? সেটা হচ্ছে ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ। বিরাট একটা উল্লম্ফন। এই বর্তমান যে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা রয়েছে, সেটার প্রেক্ষিতে খুবই চ্যালেঞ্জিং, সম্ভবও হবে না বলে আমাদের ধারণা।’