বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৪

সংসদে উপস্থাপন করা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এই খাতে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।

সংসদে উপস্থাপন করা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এই খাতে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে এই প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি এবং জ্বালানি খাতে এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনায় এর উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে একশ’ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গ্রিড যুগোপযোগী করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

‘এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম হিসেবে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ছিল মাত্র চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ) উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। এতে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট আওয়ার থেকে বেড়ে ৬০২ কিলোওয়াট আওয়ারে উন্নীত হয়েছে।

মন্ত্রী সংসদকে জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে পাশের দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবুল হাসান বলেন, ‘দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে জ্বালানি তেলের মজুত ক্ষমতা ৪৫ দিনের পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ৬০ দিনে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

দেশে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক এক হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বেড়ে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর