চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে কম ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ পরিমাণটা চলতি অর্থবছরের চেয়ে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম।
চলতি অর্থবছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ছিল, তবে সংশোধিত বাজেটে সেই অঙ্ক কমিয়ে করা হয় সাত হাজার ৩১০ কোটি টাকা।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার পর প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মোট আকার হতে যাচ্ছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার। অর্থাৎ আগামী জুলাই থেকে তার পরের জুন পর্যন্ত সরকার ব্যয় করতে চায় এই অর্থ, যা এর আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বেশি।
ব্যয়ের বিশাল এ আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে আদায় হওয়া কর থেকে। এনবিআরের ওপর থাকছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা।
আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার কমানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট বক্তৃতা দিতে জাতীয় সংসদে যাওয়ার আগে গাড়িতে বসে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যতদূর সম্ভব আমরা চেষ্টা করেছি। দেখেন আমরা টোটাল বাজেট তো কমিয়ে দিয়েছি। কারণ শুধু শুধু বেশি করে লাভ নাই।’