কারণ ছাড়া বাজেটের আকার বাড়িয়ে লাভ নেই বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট বক্তৃতা দিতে জাতীয় সংসদে যাওয়ার পথে গাড়িতে বসে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মোট আকার হতে যাচ্ছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার। অর্থাৎ আগামী জুলাই থেকে তার পরের জুন পর্যন্ত সরকার ব্যয় করতে চায় এই অর্থ, যা এর আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বেশি।
ব্যয়ের বিশাল এ আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে আদায় হওয়া কর থেকে। এনবিআরের ওপর থাকছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা।
সংসদ ভবনে যাওয়ার প্রাক্কালে এক সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘বাজেট যিনি দিচ্ছেন, তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষ। উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কী বিশেষ বার্তা আছে স্যার?’
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পরে শুনবেন।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘স্যার, একটা বার্তা দিয়ে যান…মানুষ আপনার কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে।’
উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি। দেখা যাক।’
ওই সময় অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘সাধারণ মানুষের জন্য কী দিচ্ছেন স্যার, এবার?’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যত দূর সম্ভব আমরা চেষ্টা করেছি। দেখেন আমরা টোটাল বাজেট তো কমিয়ে দিয়েছি। কারণ শুধু শুধু বেশি করে লাভ নাই।’
ওই বক্তব্যের পর সংসদ ভবনের উদ্দেশে রওনা হয় অর্থমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ি।