দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এক মাসের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশে উঠেছে। আগের মাস মার্চে তা ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে সোমবার এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মার্চে তা ছিল ৯ দমমিক ৬৪ শতাংশ।
সার্বিক দিক বিবেচনায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতি উচ্চই রয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার পরও তা কমানো যাচ্ছে না।
গত বছরের ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর নভেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ নভেম্বরের পর চলতি বছরের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আবারও ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
তবে মূল্যস্ফীতির হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি চাপে আছে।
বিবিএস প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এপ্রিলে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অথচ গ্রামে তা ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।
অন্যদিকে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শহরে খাদ্য খাতে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, যেভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি। যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে।
কৃষিতে ৮ দশমিক ২৫, শিল্প খাতে ৭ দশমিক ৩৬ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের উপরে মজুরি নেই। অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।