বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে এক লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:২৩

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কায় এসব পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

দেশটির ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয় শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি ও আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে নিম্ন খরিপ ও রবি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদনকারীরাই পেঁয়াজ সরবরাহ করবেন এবং এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আসবে বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে।

ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে নিম্ন খরিপ ও রবি মৌসুমে দেশের ভেতরে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এসব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল)।

সর্বনিম্ন দর (এল১) মূল্যে ই-প্লাটফর্মের মাধ্যমে তারা অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে। তারপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে রেট নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে সরবরাহ দিয়ে থাকে।

যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল।

বর্তমানে যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র। তারাই এনসিইএল-কে রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ দিয়ে থাকে।

এ ছাড়া দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। এসব পেঁয়াজ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কিছু দেশে রপ্তানি করা হয়। সাধারণ পেঁয়াজের চেয়ে এই পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি। কারণ এর বীজের দাম অনেক বেশি হয়। প্রয়োজন হয় উন্নত কৃষি রক্ষণাবেক্ষণের। দামেও এর প্রভাব থাকে।

ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত ১ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে দেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১২০ টাকা। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৩৫ টাকা।

অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে ৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।‌এর মধ্যে ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশটি।

এ বিভাগের আরো খবর