বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল ভারত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১৯:২২

ভারত থেকে মার্চের শেষে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হবে- এমন ভাবনায় দেশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। দামও অনেকটা কমে আসে। তবে প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার খবরে দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়েছে ভারত। শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারত থেকে মার্চের শেষে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হবে- এমন ভাবনায় দেশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। দামও অনেকটা কমে আসে। তবে প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার খবরে দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শনিবারের বিবৃতিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত রপ্তানিতে এই স্থগিতাদেশ অব্যাহত থাকবে।

ভারতে লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হয় ভারতীয় পেঁয়াজ।

ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দামে ধস নামে। আর দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানিকারী দেশগুলোর বাজারে দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। রাজ্যটিতে গত ডিসেম্বরে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল চার হাজার পাঁচশ রুপি, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার দুশ রুপি।

বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

ভারতের কৃষিপণ্য রপ্তানি সংক্রান্ত সরকারি সংস্থা হর্টিকালচার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (হেপা) প্রেসিডেন্ট অজিত শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। প্রতি বছরই মার্চ-এপ্রিল মাসে (আন্তর্জাতিক) বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়। এতদিন ভারতীয় পেঁয়াজ এই ঘাটতি সামাল দিতো। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে এ বছরের তিন মাসে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পৌঁছায়নি, সেজন্যই এ ঘাটতি।’

এ বিভাগের আরো খবর