লেখক-পাঠকদের মিলনমেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা। মাতৃভাষা বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মরণে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে হরেক রকমের নতুন বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে চলে সবার প্রিয় এই মেলা। ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এই মেলায় নিজেদের পছন্দের বই ও প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহ করতে বিভিন্ন বয়সের পাঠকরা আসেন।
তবে মেলায় আসা অধিকাংশ পাঠক-দর্শনার্থী তরুণ বয়সের। এদের মধ্যে মেলায় অনেকে শুধু ঘুরতে আসেন, অনেকে আসেন নিজেদের ছবি ও সেলফি তুলতে, অনেকে আবার প্রিয় লেখকদের সঙ্গে সেলফি কিংবা ছবি নিতেও মেলায় আসেন। বইমেলায় বই কেনার চেয়ে তরুণ প্রজন্মের দর্শনার্থীদের ছবি সেলফি তোলার হিড়িক বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবার।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতেই বইয়ের স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে। এ ছাড়াও স্টলগুলোতে থরে থরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধর্মী হাজারো বই। এমন পরিবেশে স্মৃতি ধরে রাখতে যেন সবারই ছবি তোলার ইচ্ছে জাগে। পাশাপাশি বই বিক্রি ও প্রচারে প্রকাশনীগুলোতে প্রায় প্রতিদিন থাকছেন লেখকরা। সেখানে বই কেনার পাশাপাশি তাদের সাথে সেলফি ছবি আড্ডায় মেতে ওঠেন বইপ্রেমীরা। তবে এই ছবি বা সেলফি তোলাকে নিজেদের ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং মনে করছেন অনেক লেখক।
প্রকাশক ও বিক্রেতাদের মতে, কিছু কিছু তরুণ মেলায় আসে বই কিনতে নয় বরং ফেসবুক, ইউটিউব সেলিব্রিটিদের সঙ্গে সেলফি তুলতে। যারা কোনো নিয়মিত লেখকও না। তবে তরুণ লেখকদের গতানুগতিক থ্রিলার, উপন্যাস, গল্প-কবিতার বই মূলধারার সাহিত্যকে তেমন একটা প্রভাবিত করতে পারেনি। মূলধারার সাহিত্য ঠিকই মধ্যবয়সী ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আদান-প্রদান চলছে। তবে নির্দিষ্ট একটা তরুণ সমাজ নিম্নমানের সাহিত্যকর্মের দিকে ঝুঁকি যাচ্ছে, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রকাশকরা বলছেন, বইমেলায় দর্শনার্থীদের দেখে মনে হচ্ছে, এদের বেশির ভাগই এসেছেন মেলায় একটা ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটাতে এবং তা কেবলমাত্র বইকেন্দ্রিক নয়। বইয়ের তুলনায় সেখানে হাত বেশি খোঁজে মোবাইল ফোন। আর সুযোগ পেলেই উঠে যায় ক্লিক ক্লিক ছবি। সেটা আয়োজকেরাও কিছুটা বুঝেছেন। সেটা অনুভব করা যায় স্টলের সামনে মানুষের শুধু ছবি তোলার ভিড় দেখেই।
লেখকরা বলছেন, মোবাইল ফোন বা তাতে থাকা ক্যামেরা এখন বইমেলার অন্যতম অনুষঙ্গ। এতে বিপণন থেকে প্রচার সবই যুক্ত। বইয়ের মেলায় মোবাইল ফোনের ক্যামেরা এখন গুরুত্বের শীর্ষেই আছে। মেলায় আসছেন আর ছবি তুলছেন না এমন মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন।
বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলে থাকা কয়েকজন বিক্রেতা জানান, বইয়ের পাতা উল্টিয়ে ভেতরের লেখা পড়ে খুব কম মানুষ। আর দাম তো জিজ্ঞেসও করে না। বই হাতে ছবি তুলাই মূল উদ্দ্যেশ্য মনে হয়। সবার হাতে এখন স্মার্টফোন। স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে বই হাতে সেলফি তোলা আর ফেসবুকে দেয়াই তো কাজ। সেলফি তুলতে বই লাগে, কেনা বা পড়া লাগে না। সেলফি তুলতে তুলতে বই ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনাও দেখছি।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, কোথাও বাবা তার মেয়ের ছবি তুলে দিচ্ছেন, আবার কোথাও বন্ধু তার বন্ধুর ছবি তুলতে ব্যস্ত, কোথাও কোথাও প্রেমিক তার প্রেমিকার ছবি তুলে দিচ্ছেন। আবার কেউ প্রিয় লেখকের বই হাতেও ছবি তুলছেন। কেউ কেউ সদ্য তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-ইন্সট্রাগ্রামে পোস্ট করছেন। বন্ধুদের জানান দিচ্ছেন বাইমেলায় উপস্থিতির কথা।
মেলার নির্মল পরিবেশে বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের যেন ছবি তোলার উৎসব চলছে। এ অবস্থায় বই কেনার চেয়ে ছবি তোলাই যেন মুখ্য। আবার কেউ বা করছেন ব্লগ। আর কেউ ঘুরছেন কন্টেন্টের নামে গেমস আর ধাঁধার খেলায়। তবে স্টল ঘুরে ঘুরে বইও কিনছেন অনেকে।
শনিবার বিকেল থেকেই অমর একুশে বইমেলায় দর্শনার্থীদের ঢল দেখা গিয়েছে। মানুষ সিরিয়াল দিয়ে ঢুকছেন মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় আসা স্মৃতি ধরে রাখতে নিচ্ছেন সেলফি, তুলছেন ছবি। বই দেখছেন অনেকেই, কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম।
বিকেল তিনটা থেকে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় বাড়তে থাকলেও বই ক্রেতা খুবই কম। অনেকেই এসেছেন দলবেঁধে, কেউ কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ আবার পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয় মানুষকে সাথে নিয়ে। ছোট বাচ্চাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা দুই বন্ধু রাজিব মাহমুদ ও শহিদুল আলম জানান, বইমেলার মনোরম পরিবেশ আর কোথাও পাওয়া যায় না। চারপাশে হাজারো বই। তবে মেলায় বই কেনার পাশাপাশি স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলে রেখেছেন।
বই কেনার পর লেখকের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন জাহিদ হাসান। তিনি জানান, মেলায় বইয়ের স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো এমন করে সাজানো যে, পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে সবারই সাধ জাগে। যেহেতু বইমেলা, এখানে এখানে বই কেনাটাও মুখ্য।
বইমেলায় ঘুরতে আসা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রওশন জাহান বলেন, বই মেলায় আসছি আর ফেসবুকে একটা স্টোরি দেব না তা কি আর হয়! অনেকগুলো ছবি তুলেছি বাসায় যেয়ে কিছু স্টোরিতে দেবো আর কিছু ছবি আপলোড দেব।
শেখ শাহরিয়ার নামের এক দর্শনার্থী বলেন, তার দুই অনেক দিন থেকেই সখ করেছে বই মেলায় আসার। শুক্রবারের ভিড় এড়াতে শনিবার তাদের নিয়ে মেলায় এসেছি। বইমেলার স্মৃতি রাখতে মেয়েকে ছবি তুলে দিয়েছি।
প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রেতা মামুনুর রশিদ, এবার প্রথম দিকের চেয়ে শেষের দিকে শেষের দিকে ভিড় বেড়েছে। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর প্রথম দিকেও ভিড় ছিল। আমাদের স্টলে সবাই বই কিনতেই আসে। অটোগ্রাফ সহ লেখকের সঙ্গে ছবিও তুলছেন অনেকে।
বই কম বিক্রি প্রসঙ্গে অন্যপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী আলিয়া জাহান বলেন, দর্শনার্থীরা দশজন বই দেখলে কিনছেন একজন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মেলার শেষের দিকে বই বিক্রি বাড়বে।
পাঠক সমাবেশের একজন বিক্রেতা জানান, বইমেলায় দেখা যায় কিছু কিছু ব্যক্তি আসেন বই কেনেন না তবে সেলিব্রিটিদের সঙ্গে সেলফি তোলেন। আবার অনেকে বই কেনেন তাদের সঙ্গে সেলফি তুলে নিজেকে ধন্য মনে করতে। কিন্তু নিম্নমানের এই লেখকদের সাহিত্য রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের মতো সাহিত্যকর্মকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি। নির্দিষ্টসংখ্যক সচেতন পাঠকরা ঠিকই পুরনো সাহিত্য খুঁজে নেন।
আগামী প্রকাশনীর বিক্রেতা সোহাগ মাহমুদ বলেন, মেলায় পাঠকের চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। তবে যারা কেনার জন্য আসে তারা কেনে। ছবি তুললে আসলে বিরক্তি প্রকাশ করা যায় না। আমাদের অনেক সমস্যা হয়। অনেকেই আসে বই দেখে ছবি তুলে চলে যায়। কিছুই বলা যায় না।
সেলফি আর ছবির প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে জ্ঞানকোষ প্রকাশনীর বিক্রেতা সুমাইয়া জাহান বলেন, খুবই সমস্যা হয়। তবে সমস্যা হচ্ছে আমরা কিছুই বলতে পারি না। আর এবারের মেলায় প্রতিবারের মতো সাজের কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এজন্য পাঠক দর্শনার্থীরা ছবি তুলতে ব্যস্ত বেশি। তবে ছবি তুলতে গিয়ে তারা অনেকে আবার বই কিনতে ভুলছেন না। এবারের বইমেলায় অন্যবারের চেয়ে পাঠকের ভিড়ের পাশাপাশি বিক্রিও বেশ ভালো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লেখিকা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ যারা বইমেলাকে কেন্দ্র করে কিছু লেখা লেখেন কিন্তু সারা বছর তাদের কোনো লেখা দেখা যায় না। তবে তাদেরকে ঠিকই ফেজবুক ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে নিম্নমানের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে দেখা যায়। দেখা যাচ্ছে তারা বইমেলায় এলে তাদেরকে ঘিরে তরুণ সমাজ সেলফি-ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যায়। এতে আমাদের মূলধারার সাহিত্যকর্মের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। তা ছাড়া তরুণ সমাজ যারা আমাদের ভবিষ্যৎ তাদেরকে নিম্নমানের এসব কর্মের প্রতি ঝুঁকে যাওয়া ঠিক নয়। তাদের উচিত উন্নততর চিন্তাভাবনা করা। আর সমাজকে ইতিবাচক উন্নতির দ্বার দেখানো।
অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বলেন, পাঠক ক্রেতারা মেলার প্রথম সপ্তাহে দেখে, দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘুরে, তৃতীয় সপ্তাহে সিদ্ধান্ত আর শেষ সপ্তাহে কেনাকাটা করে। আর বইমেলার পুরো মাঠেই চলে সেলফি উৎসব। প্রকাশনীর সামনে তো কোনো কথাই নেই। তবে আমার কথা হচ্ছে বইটা আগে পাঠকের হোক পরে সেলফি।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম সঠিক পাঠক হোক, দায়িত্বশীল পাঠক হোক। সেলফি কিংবা ছবির তুলায় সময় নষ্ট না করে তাদের লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো উচিৎ। বর্তমানে ভালো লেখার সংকট রয়েছে। তরুণ প্রজন্মই পারবে এ সংকট কাটাতে।
তরুণ লেখকদের বই প্রকাশ করা শব্দশৈলী প্রকাশনীর প্রকাশক ইফতেখার আমীন বলেন, এ বছর প্রথম দিকে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। তবে বিক্রি সেরকম হয়নি। এবার এখন পর্যন্ত ব্যাগভর্তি বই কাউকে কিনতে দেখিনি। তবে ফোন ভর্তি ছবি আর সেলফি তুলতে দেখেছি। মেলায় লোক সমাগম হচ্ছে, আড্ডা সেলফি হচ্ছে, চার-পাঁচ জনের গ্রুপ বই নিয়ে ছবি তুলছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় বই বিক্রি কম।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের নামে যে হচ্ছে তা আসলে ঠিক নয়। মেলা হওয়া উচিৎ পাঠকদের। সেখানে বই আর বউয়ের পার্থক্য নিয়ে ধাঁধা কিংবা গেম খেলার জন্য নয়। বই মেলার সাথে বাণিজ্য মেলার তুলনা করলে চলবে না। আমরা লেখক নয় লেখা ছাপি। আর এখন পাঠক হওয়ার চেয়ে ভাইরাল হওয়ার চিন্তা বেশি। তরুণ প্রজন্মের ভাইরাল হওয়ার মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান এবারের গ্রন্থমেলায় ‘স্মার্টফোন আসক্তি: প্রযুক্তি ও জীবনের ভারসাম্যহীনতা’ বইটি প্রকাশ করেছেন। বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্টফোন আসক্তি থেকে সচেতন করে তুলতে বইটিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন ড. ফারহানা।
তিনি বলেন, স্মার্টফোন শিক্ষার্থীদের জীবনে এনে দেয় গতি, উন্মোচন করে নতুন দিগন্ত। কিন্তু নতুন এই দিগন্তে বিচরণ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী হয়ে পড়েন স্মার্টফোনে আসক্ত। পড়ালেখায় গতি এনে দিলেও স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি অনেক শিক্ষার্থীকে ঠেলে দিয়েছে অন্ধকারের অতল গহ্বরে।
এবারের বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
যেমন ছিল শনিবারের বইমেলা
অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিন শনিবার মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর।
এদিন নতুন বই এসেছে ১৩৮টি। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: মোহাম্মদ রফিক এবং স্মরণ : খালেক বিন জয়েনউদদীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে আলতাফ শাহনেওয়াজ এবং সুজন বড়ুয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শামীম রেজা, শোয়াইব জিবরান এবং আসলাম সানী। সভাপতিত্ব করেন আবুল মোমেন।
‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও গবেষক শাহনাজ পারভীন, কবি ও অনুবাদক সাইফুল ভূঁইয়া, কথাসাহিত্যিক শাহনাজ পারভীন স্মৃতি এবং গবেষক মনিরুজ্জামান শাহীন। এই মঞ্চে এদিন বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত, মুহম্মদ মোজাম্মেল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধ ও আলোকচিত্র বই বিষয়ে লেখকের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
রোববারের বইমেলা
অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিন রোববার মেলা শুরু হবে বিকেল তিনটায় এবং চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।