রমজানের আগে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য আরও বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ ও চিনি প্রস্তুত রাখতে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ভারতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
গত ২৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছিলেন, রমজানে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করা হবে।
তিনি বলেছিলেন, ‘রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভারত থেকে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার টন চিনি আমদানি করা হবে। এ ছাড়া ব্রাজিলসহ অন্য দেশ থেকে তেল ও চিনি আসছে।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমরা আমাদের ভোগ্যপণ্যের জন্য ভারতের ওপর অনেক পণ্যের ব্যাপারে নির্ভরশীল। বিশেষ করে পেঁয়াজ, চিনি, ডাল এবং কিছু মসলাজাতীয় ভোগ্যপণ্যসহ আমরা অনেক কিছুর ওপর ভারতের ওপর নির্ভরশীল।
‘আমি ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব পীযূষ গয়ালের সাথে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাকে বলেছি যে, বাংলাদেশের জন্য এই ভোগ্যপণ্যগুলোর জন্য ছয়টি পণ্যের জন্য যাতে একটি বিশেষ কোটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অর্থাৎ কমপক্ষে এইটুকু আমরা তাদের কাছ থেকে ইমপোর্ট করতে পারব। প্রয়োজনে বেশিও করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘রমজানের আগে তারা ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
‘আমি সেটি উন্নীত করে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং এক লক্ষ মেট্রিক টন চিনিতে উন্নীত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। হি হ্যাস টেইকেন সিরিয়াস নোট অফ দ্যাট (তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন)।’