বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ ৫ কর্মকর্তার কারাদণ্ডের রায় স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ২১:০১

আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীরসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে তিন মাসের দেওয়ানি বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়।

আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের দেয়া ৩ মাসের দেওয়ানি বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদালতে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শামীম খালেদ ও ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম।

আর মুন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন।

আদালতের আদেশ অমান্য করায় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীরসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে তিন মাসের দেওয়ানি বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়। এই রায় পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে দণ্ডিতদের ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

দণ্ডিত অন্য চার কর্মকর্তা হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার জেনারেল ম্যানেজার মো. ফজলুল করিম, এলপিআরে যাওয়া আরেক জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম ফজলুল হক, অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার-২ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-১ ওয়াহিদা বেগম।

হাইকোর্টের এই দেওয়ানি সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

আইনজীবীরা জানান, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুন গ্রুপের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের ডিক্রিমূলে পাওনা ৫৩৯ কোটি টাকা।

২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে পাওনার ২৫ শতাংশ কিস্তিতে পরিশোধের জন্য মুন গ্রুপকে চিঠি দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ না করলে মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠানো হবে।

ব্যাংকের এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিম্ন আদালতে ঘোষণামূলে ডিক্রি প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে ব্যাংকের চিঠির বিরুদ্ধে আদেশ প্রার্থনা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। নিম্ন আদালত এই আদেশ নামঞ্জুর করে। এই আদেশের বিরুদ্ধে মুন গ্রুপ হাইকোর্টে বিবিধ আপিল দায়ের করে। হাইকোর্ট ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ব্যাংকের চিঠির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে। পাশাপাশি রুল দেয়।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে ঋণের ২৫ শতাংশ কিস্তি পরিশোধ না করায় মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকে সিআইবি পাঠায় অগ্রণী ব্যাংক। পরে মুন গ্রুপ অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ চার নির্বাহীর বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মোকদ্দমা দায়ের করে। মামলার শুনানি শেষে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে তিন মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দেয়। তাদের মধ্যে একজন এলপিআরে যাওয়া নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর