প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। খবর বাসসের।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার তরফ থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন মুদ্রাস্ফীতি বা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রতি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মুদ্রাস্ফীতি বা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দেন।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আগামী রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং একই সঙ্গে রমজান সংশ্লিষ্ট পণ্য, যেগুলোর চাহিদা বেড়ে যায়, সেগুলোর মূল্য স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে একই দিন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সোমবার সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মূলত একটি বিষয় আলোচনা হয়েছে। সেটি হলো মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, যখন কোনো সরকার কাজ শুরু করেন, তখন যে অধিবেশনটা হয়, সে অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ প্রদান করেন। সে ভাষণের খসড়া আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত হয়েছিল, তা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
বৈঠক শুরুর আগে মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার (প্রধানমন্ত্রীর) তরফ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে একটি ইশতেহার দেয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ইশতেহারে ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভিত্তি করে এখনই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করা ও মনিটরিং করা।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কৃষি উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। একই সঙ্গে কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষণাগার রয়েছে। প্রয়োজনে কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য যাতে আরও সংরক্ষণাগার তৈরি করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা আমরা জানি। এই স্তম্ভগুলো হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। এই চারটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে সব মন্ত্রণালয়কে ওই স্তম্ভগুলো যে মন্ত্রণালয়ের যতটুকু জড়িত, তারা যেন সেগুলো নিয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে।’
তিনি বলেন, ‘যে প্রকল্পগুলো প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো যেন দ্রুত শেষ করা হয়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। যে প্রকল্পগুলো থেকে জনগণ সরাসরি উপকার পাবে, সে প্রকল্পগুলো দ্রুত গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
‘নতুন প্রকল্প নেয়ার আগে সেগুলো কীভাবে জনগণের কল্যাণে আসবে, সে বিষয়টি খুব ভালো করে পরীক্ষা করে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’