নতুন করে উৎপাদিত মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়, উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ টন। এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এসব মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং এটি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এরপর প্রধান জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে এবং উৎপাদন হতে পারে প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।
তবে রোববার কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫ কেজি ১ হাজার টাকা এবং একই পরিমাণ বাজারে উঠা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে আমদানি করা ৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।
বাংলাদেশ মূলত ভারত, চীন, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার পর পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।